পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারে জোর দিচ্ছে রাজ্য। সেই সঙ্গে শহর এবং শহরতলির বিভিন্ন রুটে বৈদ্যুতিক ফেরি চালানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি সম্প্রতি বলেন, ‘‘পরীক্ষামূলক ভাবে একটি ব্যবহার হচ্ছে। উদ্যোগ সফল হওয়ায় ২৫০ কোটি টাকায় গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সকে ১৩টি বৈদ্যুতিক ফেরির বরাত দিয়েছে রাজ্য।’’ তাঁর আশা, সেগুলি ধাপে ধাপে হাতে আসবে।
অন্য দিকে পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন বলেন, ‘‘রাজ্য আগামী বছর থেকে ফেরিগুলি পেতে শুরু করবে। দু-তিন বছরে সবক’টি চলে আসবে।’’ এখনকার ফেরিগুলি সবই ডিজ়েলে চলে। এর পরে শুধু বৈদ্যুতিকই চালানো হবে। মন্ত্রী জানান, এই ফেরি মূলত শহর ও শহরতলিকে কেন্দ্র করে থাকা যাত্রাপথে চলবে। পাশাপাশি, প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) চালিত ফেরি আনার কথা ভাবা হচ্ছে।
স্নেহাশিস জানান, পরিবেশের কথা মাথায় রেখে ব্যক্তিগত বৈদ্যুতিক গাড়িতে এক বছর পথ করে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য জুড়ে তৈরি হচ্ছে চার্জিং স্টেশনও। গাড়ি বিক্রেতাদের সংগঠন ফাডার সর্বভারতীয় সভাপতি সি এস বিজ্ঞেশ্বর জানান, দেশে যে হারে বৈদ্যুতিকের বিক্রি বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে রাজ্য। সব বৈদ্যুতিক মিলিয়ে রাজ্যে ২০২৩-এ বিক্রি হয়েছিল ২১,৪৩১টি, গত বছর ৪৫,৬২৪। তবে কিছু বেআইনি সংস্থা বৈদ্যুতিক তিন চাকার ব্যবসা করছে বলে সতর্ক করে মন্ত্রী জানান, সেগুলি সুরক্ষিত নয়। তাই তা বন্ধে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)