আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের মন্ত্রী-সহ তিন জনের মাথার দাম প্রত্যাহার করে নিল আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সংবাদ সংস্থা এপি-র প্রতিবেদন অনুসারে, রবিবার কাবুলের তরফেই এই তথ্য জানানো হয়েছে। আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হক্কানির বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে কাবুলের একটি হোটেলে হামলা চালিয়ে এক মার্কিন নাগরিক-সহ ছ’জনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। তার পরেই আমেরিকার বিদেশ দফতর হক্কানির মাথার দাম নির্দিষ্ট করে তাঁর সন্ধান চেয়েছিল।
এর মাঝে অবশ্য অনেক জল বয়ে গিয়েছে। আমেরিকার সমর্থনপুষ্ট সরকারকে হটিয়ে আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান সরকার। সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত নিজেদের অতীত পিছনে ফেলে আন্তর্জাতিক মহলে ক্রমশ বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছেন তালিবেরা। তবে হক্কানির মাথার দাম তুলে নিলেও এখনও তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় আমেরিকা। কারণ সে দেশের বিদেশ দফতরের ‘সন্ধান চাই’ তালিকায় আরও অনেকের সঙ্গে রয়েছে হক্কানির নামও।
সিরাজউদ্দিন হক্কানি ছাড়াও তাঁর দুই তুতো ভাইয়ের মাথার দামও তুলে নিয়েছে আমেরিকা। এর নেপথ্যে কোন কারণ, তার ব্যাখ্যা অবশ্য মেলেনি। কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে মনে করছেন, তালিবান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে পেন্টাগন।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে তালিবান আফগানিস্তান দখল করার পরে হক্কানি গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে ওঠে। তালিবদের মধ্যে এই গোষ্ঠীটি বোমা ছোড়া, আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে ক্রমশ দক্ষ হয়ে উঠেছিল। আফগানিস্তানে আমেরিকা এবং ভারতের দূতাবাসে হামলা চালানোরও অভিযোগ উঠেছিল এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তাই তালিবানের যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকেন হক্কানিরা। এই গোষ্ঠীর দৌরাত্ম্যে কপালে ভাঁজ পড়েছিল মার্কিন গোয়েন্দাদের।