ফাইল চিত্র।
চড়া গরমে এপ্রিলে আচমকা লাফিয়ে বেড়েছিল বিদ্যুতের চাহিদা। কিন্তু অভিযোগ, কয়লার জোগান সঙ্কটে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে উৎপাদন হয়নি। ফলে দেশের বহু জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভুগছে শিল্পও। অবশ্য কয়লা মন্ত্রকের দাবি, এ বছর এপ্রিলে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় দেশে কয়লা উত্তোলন বেড়েছে প্রায় ২৮%। দাঁড়িয়েছে ৬.৬১ কোটি টন। যার সিংহভাগই গিয়েছে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে।
কলকাতার সংস্থা মাইথন অ্যালয়ের দাবি, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য গত তিন সপ্তাহ ধরে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে তাদের কারখানায় ৫০% ধাক্কা খেয়েছে উৎপাদন। ফলে ক্ষতি গুণতে হচ্ছে। কারখানাটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১.২০ লক্ষ টন। ১৫ মে পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলবে বলে আশঙ্কা। অন্ধ্রে তাদের আর এক শাখা সংস্থার কারখানাও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখে পড়ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়ের কারখানা দু’টি ঠিক মতো চলছে, জানিয়েছে তারা।
কোল ইন্ডিয়া দেশে চাহিদার ৮০% কয়লা জোগায়। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে তারাই সব থেকে বেশি কয়লা সরবরাহ করে। সরকারি মহল জানিয়েছে, আগামী দিনে সেই জোগান আরও বাড়ানোর লক্ষ্য। যদিও এর আগে কেন্দ্র দাবি করেছিল, দেশে বিদ্যুৎ সঙ্কটের জন্য কয়লা জোগানের ঘাটতি দায়ী নয়। বরং অন্যান্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পাওয়াই মূল কারণ। তার উপরে অতিমারি কাটিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হওয়ায় ও তাড়াতাড়ি চড়া গরম পড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। অথচ তা উৎপাদনের আর এক জ্বালানি গ্যাস ও আমদানিকৃত কয়লার দাম বাড়ায় এবং উপকূলবর্তী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির উৎপাদন কমায় তৈরি হয়েছে সমস্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy