Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

চা বাগানে ঐকমত্য বোনাসে, কাঁটা সময়

উত্তরকন্যায় এ দিন বৈঠক শুরুর পরেও বোনাস নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছনো যায়নি। সন্ধ্যে গড়ানোর পরে নবান্ন হস্তক্ষেপ করে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৩২
Share: Save:

তিন মাসেরও বেশি বাগান বন্ধ থাকলেও পাহাড়ের চা শ্রমিকেরা প্রায় গত বারের হারেই পুজোর বোনাস পাচ্ছেন। শুক্রবার উত্তরকন্যায় ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত সোমবার কলকাতায় শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, মুখ্য সচিব মলয় দে, স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্য প্রমুখ মালিকপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তাঁরা এবং পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শ্রমিকদের বোনাস দিতে মালিকদের অনুরোধ করেন। তখনই ঠিক হয়, এ নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে উত্তরকন্যায়।

উত্তরকন্যায় এ দিন বৈঠক শুরুর পরেও বোনাস নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছনো যায়নি। সন্ধ্যে গড়ানোর পরে নবান্ন হস্তক্ষেপ করে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। চা বাগান মালিকদের বিভিন্ন সংগঠনের কাছেও নবান্ন থেকে ফোন আসে। শ্রমিকদের দাবি নিয়ে রাজ্যের ‘নরম’ মনোভাব আঁচ পেয়েই প্রায় গত বারের হারে বোনাস দিতে রাজি হন মালিকপক্ষ। গত বছর বোনাসের হার ছিল ২০%। চলতি বছরেও ৮৬টি বাগানের শ্রমিকরা ১৯.৭৫% হারে বোনাস পেতে চলেছেন।

মালিকপক্ষের অবশ্য দাবি, দ্রুত কাজ শুরু না-হলে বোনাস দেওয়া সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে তাঁদের আরও শর্ত, তিনটি কিস্তিতে তা দেওয়া হবে। বোনাসের হার ঠিক হলেও, কবে থেকে বাগান খুলবে তা নিয়ে কোনও সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়নি। সে কারণে দুপুরের বৈঠক গড়িয়েছে রাত পর্যন্ত। এ দিনের বৈঠকে মোর্চার চা শ্রমিক সংগঠনের তরফে বিমল গুরুঙ্গ ঘনিষ্ঠ এবং বিনয় তামাঙ্গ ঘনিষ্ঠ দুই গোষ্ঠীর নেতারাই পৃথক ভাবে যোগ দেন। জন আন্দোলন পার্টি, জিএনএলএফ-সহ অন্যান্য দলের শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ডাকা বন্‌ধের জেরে গত জুন থেকে পাহাড়ের চা বাগানগুলি বন্ধ। দার্জিলিং চায়ের সেকেন্ড ফ্লাশ চা বাজারেই আসেনি। পুরো রফতানি বাজারই হারিয়েছে বাগানগুলি।

অন্য বিষয়গুলি:

Tea Garden UttarKanya Tea Labour
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE