—প্রতীকী ছবি।
রাজারহাটের ক্যাম্পাসে বুধবার কাজ শুরু করেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস। এরই মধ্যে আর একটি লগ্নির খবর পেল রাজ্য। টাটা গোষ্ঠীর সংস্থা টাটা হিতাচি জানাল, খড়্গপুরের কারখানা সম্প্রসারণে ১০০ কোটি টাকারও কিছু বেশি পুঁজি ঢালবে তারা।
সম্প্রতি টাটা হিতাচির এমডি সন্দীপ সিংহ জানান, এ বছরে খড়্গপুর ও কর্নাটকের কারখানায় মোট ২০০ কোটি টাকা ঢালবেন তাঁরা। এর অর্ধেকের কিছু বেশি হবে খড়্গপুরে। প্রসঙ্গত, খড়্গপুরের কারখানাটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সর্ববৃহৎ খনন যন্ত্র উৎপাদন কারখানা। ২০০৯ সালে মোট ১১০০ কোটি টাকা খরচ করে সেটি তৈরি হয়। তার সম্প্রসারণ ও ক্ষমতাবৃদ্ধির লক্ষ্যেই নতুন লগ্নি।
প্যাটন গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় বুধিয়ার কথায়, ‘‘টাটা গোষ্ঠীর এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে ইতিবাচক। শিল্পস্থাপন নিয়ে রাজ্য সরকারের আন্তরিকতার প্রমাণ।’’ বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বারের সভাপতি নমিত বাজোরিয়া বলেন, ‘‘টাটা হিতাচির লগ্নি ঘোষণায় দেশের শিল্প মানচিত্রে বংলার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।’’ অর্থনীতিবিদ ও শিল্প বিশেষজ্ঞ সুপর্ণ মৈত্র অবশ্য এই লগ্নিতে বাড়তি কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা নিয়ে সন্দিহান। তাঁর কথায়, ‘‘গত কয়েক বছর রাজ্যের ভাবমূর্তির ধারাবাহিক অবনমনের মধ্যে এই ঘোষণা রুপোলি রেখা।’’
সন্দীপ সিংহ অবশ্য জানাচ্ছেন, খড়্গপুরের কারখানা চালাতে গিয়ে কখনও সমস্যা হয়নি। এই সংস্থা টাটা ও হিতাচির যৌথ উদ্যোগে তৈরি। এতে টাটা মোটরসের ৪০% ও হিতাচি কনস্ট্রাকশন মেশিনারির ৬০% অংশীদারি রয়েছে। লগ্নি ঘোষণায় কর্মী ও শ্রমিকরা উচ্ছ্বসিত। ঠিকাশ্রমিক ইফতেকার সালিম বলেন, ‘‘সংস্থার বেতন কাঠামো উন্নত।’’ স্থায়ী কর্মী বিজন ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘আমরা জমিদাতা পরিবারের সদস্য। লগ্নি হলে কাজের সুযোগ বাড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy