—প্রতীকী ছবি।
দীপাবলির মুখে চাঙ্গা হবে শেয়ার বাজার, এমনটা ছিল ধারনা। কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেল অন্য ছবি। সোমবার, ২১ অক্টোবর ফের একবার পড়ল সেনসেক্স ও নিফটি। গত সপ্তাহে শেষ লেনদেনের দিনে (১৮ তারিখ) ঘুরে দাঁড়িয়েছিল স্টকের বাজার। তার আগে লাগাতার সূচকে পতন দেখা গিয়েছে। অক্টোবরের চতুর্থ সপ্তাহের শুরুতেই ফের সেই ছবি ফিরে আসায় বিনিয়োগকারীদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
এ দিন বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) বন্ধ হওয়ার পর দেখা যায়, ৮১,১৫১.২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেনসেক্স। এতে ৭৩.৪৮ পয়েন্টের পতন দেখা গিয়েছে। যা প্রায় ০.০৯০ শতাংশ। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে ৮১,৭৭০.০২ পয়েন্টে খুলেছিল বিএসই। আর এটাই ছিল দিনের সর্বোচ্চ শেয়ার সূচক। অর্থাৎ সেনসেক্সে খুব বেশি উত্থান-পতন দেখা যায়নি।
অন্য দিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) সূচকে ৭২.৯৫ পয়েন্টের পতন দেখা গিয়েছে। দিন শেষে নিফটি বন্ধ হয়েছে ২৪,৭৮১.১০ পয়েন্টে। এতে ০.২৯ শতাংশ পতন দেখা গিয়েছে। এনএসই খোলার সময়ে ২৪,৯৫৬.১৫-তে দাঁড়িয়েছিল নিফটি। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪,৯৭৮.৩০ পয়েন্টে উঠেছিল এই সূচক। ফলে একটা সময়ে এটি ২৫ হাজারের গণ্ডি ছাড়াবে বলে মনে করা হয়েছিল। যদিও বাস্তবে তা হয়নি।
এ দিন গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থাগুলিকে বাদ দিলে লোকসানের মুখ দেখেছেন অন্য সমস্ত কোম্পানির লগ্নিকারীরা। মিডিয়া ও ধাতুসংকর সংস্থাগুলির শেয়ারের দর দিনভর নিম্নমুখী ছিল। একদিনের বিরতির পর ফের মাঝারি ও ছোট পুঁজির সংস্থাগুলি খারাপ ফল করেছে। এগুলিতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১.৬৬ ও ১.৪৭ শতাংশ। শেয়ার বিশেষজ্ঞদের দাবি, মাঝারি ও ছোট পুঁজির ব্যবসার স্টকে বুলিশ ট্রেন্ড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কারণ দৈনিক চার্টে সূচক একটি ডার্ক ক্লাউড কভার ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন তৈরি করেছে।
নিফটিতে সর্বাধিক লোকসান হয়েছে টাটা কনজ়িউমার প্রোডাক্ট, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, বিপিসিএল, ইন্ডাসইণ্ড ব্যাঙ্ক ও বজ়াজ ফিনসার্ভের। অন্য দিকে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, বজ়াজ অটো, এশিয়ার পেইন্টস, এম অ্যান্ড এম এবং আইশার মোটর্সের শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy