Advertisement
২১ অক্টোবর ২০২৪
E-Commerce

জলের দরে পণ্য বিক্রি থেকে বড় ছাড়! তিন অনলাইন সংস্থার বিরুদ্ধে উঠল তদন্তের দাবি

জনপ্রিয় তিন ই-কমার্স সংস্থার বিরুদ্ধে উঠেছে অস্বাভাবিক সস্তা দরে পণ্য বিক্রির অভিযোগ। অর্থনীতিবিদরা যাকে ‘শিকারি মূল্য’ বলে অভিহিত করেছেন।

Swiggy Blinkit Zepto these three e commerce companies allegedly selling products in predatory price

—প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৫৫
Share: Save:

মহাসঙ্কটে ব্লিঙ্কিট, সুইগি ও জ়েপ্টোর মতো ই-কমার্স সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে শিকারি মূল্যে (প্রিডেটরি প্রাইসিং) পণ্য বিক্রির অভিযোগ। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের ‘কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া’ বা সিসিআইয়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে অল ইন্ডিয়া কনজ়িউমার প্রোডাক্টস ডিস্ট্রিবিউটার্স ফেডারেশন (এআইসিপিডিএফ)। তিনটি ই-কমার্স সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়ে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র মারফত মিলেছে খবর।

বর্তমানে ই-কমার্স সংস্থাগুলির জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই ঘর-গৃহস্থালির নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি সামগ্রী হোক বা মোবাইল ফোনের মতো বৈদ্যুতিন পণ্য— হাতের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্লিঙ্কিট ও জ়েপ্টোর জুড়ি মেলা ভার। অন্য দিকে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা হিসেবে দুর্দান্ত জনপ্রিয়তা রয়েছে সুইগির। এই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধেই এ বার উঠল অস্বাভাবিক কম দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগ। যাকে অর্থনীতির পরিভাষায় বলা হয় শিকারি মূল্য বা প্রিডেটরি প্রাইসিং।

এআইসিপিডিএফের দাবি, বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখতে ক্রমাগত কম দামে জিনিস বিক্রি করে চলেছে ব্লিঙ্কিট, জ়েপ্টো ও সুইগি। আর তাই ১৮ অক্টোবর সিসিআইকে চিঠি দিয়েছে এই সংস্থা। সূত্রের খবর, সেখানে ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াতে কী ভাবে এই তিন ই-কমার্স কোম্পানি পণ্যের দামের উপর বড় অঙ্কের ছাড় দিচ্ছে, তা স্পষ্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্লিঙ্কিট অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা জ়োম্যাটোরই একটি শাখা।

উল্লেখ্য, নেস্টলে ও হিন্দুস্তান লিভারের মতো বহুজাতিক সংস্থার চার লক্ষ খুচরো ডিস্ট্রিবিউটারের প্রতিনিধিত্ব করে এআইসিপিডিএফ। সিসিআইকে তাদের পাঠানো চিঠি প্রকাশ্যে আসেনি। তবে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা ‘রয়টার্স’। সেখানে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে খুচরো ডিস্ট্রিবিউটারদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে বলে জানিয়েছে এআইসিপিডিএফ।

সমীক্ষক সংস্থা ‘ডাটাম ইনটেলিজেন্স’-র দাবি, চলতি বছরে ভারতের বাজারে ই-কমার্স সংস্থাগুলির ব্যবসা ৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। যার ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে ব্লিঙ্কিটের হাতে। আর জ়েপ্টো ও সুইগির কাছে রয়েছে ৩০ শতাংশ শেয়ার। এই তিনটি সংস্থা অনলাইন ডেলিভারি কোম্পানি ‘অ্যামাজন’-কেও প্রবল প্রতিযোগিতার মুখে ফেলছে বলে রিপোর্টে স্পষ্ট করেছে ওই সমীক্ষক সংস্থা।

এ বছরের অগস্ট মাসে অ্যামাজন ও ওয়ালমার্টের ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে শিকারি মূল্যে পণ্য বিক্রির অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে যার প্রমাণ পেয়েছিল সিসিআই। এর পর দু’টি সংস্থাকেই সতর্ক করা হয়েছিল। এই ধরনের অভিযোগে সিসিআইয়ের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার অধিকার রয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE