—প্রতীকী ছবি।
শুভদীপ গুপ্ত
অতিমারির ধাক্কা সামাল দিয়ে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে বাজেটে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিপুল সরকারি ব্যয়বরাদ্দে ভরসা রেখেছে কেন্দ্র। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে শুক্রবার অন্তর্বর্তী বাজেটে সেই একই রাস্তায় হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, করোনার জেরে অর্থনীতির পাশাপাশি কর্মসংস্থানও বাড়ন্ত। সরকারি খরচ বাড়িয়ে আর্থিক বৃদ্ধির চাকাকে লাইনে ফিরিয়ে সেই কাজের বাজারকে ফের চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। সেই বরাদ্দের বড় অংশ গিয়েছে পরিকাঠামোয়। বিশ্বব্যাপী করোনা সঙ্কটের বিরূপ প্রভাবের বাইরে নয় পশ্চিমবঙ্গও। বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দের ধারাবাহিকতার পাশাপাশি তাই সেই একই রাস্তায় হাঁটার চেষ্টা করলেন মমতাও। নতুন পরিকাঠামো প্রকল্প যেমন ঘোষণা করলেন, তেমনই তুলে ধরলেন পূর্ব পরিকল্পিত প্রকল্পগুলির কথাও। তবে অনেকেই তুলেছেন পুরনো প্রশ্ন। এত বরাদ্দের সংস্থান হবে কোত্থেকে? যেখানে অন্ডাল বিমানবন্দর প্রকল্পের বাণিজ্যিক সাফল্য নিয়ে এখনও প্রশ্ন দূর হয়নি। তাজপুর নিয়ে আলোচনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। ঠিক যে ধরনের প্রশ্ন অতীতে বারবার উঠেছে কেন্দ্রের দেওয়া বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রেও। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের অবশ্য বক্তব্য, বিগত ১০ বছরে মূলধনী খরচ বিপুল বাড়িয়েছে রাজ্য। রাজকোষ ঘাটতি কমিয়েই।
এ দিন ‘পথশ্রী’ প্রকল্পে আগামী পাঁচ বছরে ৪৬ হাজার কিলোমিটার নতুন গ্রামীণ রাস্তা তৈরির প্রস্তাব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, এর মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে হওয়ার কথা ১০ হাজার কিলোমিটার নতুন রাস্তা তৈরি এবং সংস্কার। গ্রামীণ রাস্তাকে রাজ্য জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত করতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। এ ছাড়াও নন্দীগ্রাম-হলদিয়া সংযোগকারী সেতু, কলকাতা-বাসন্তী চার লেনের সড়ক, প্রগতি ময়দান-বানতলা ও বানতলা-ঘটকপুকুর রাস্তা চওড়া করার কথা ঘোষণা করেছেন।
বাজেটে বলা হয়েছে বিটি রোড, যশোর রোড, উল্টোডাঙা-সহ কলকাতায় বেশ কয়েকটি উড়ালপুল এবং ইএম বাইপাসে রুবির বাসস্টপের কাছে স্কাইওয়াকের কথা। শহরে কয়েকটি প্রকল্পের জন্য হবে ‘ফিজ়িবিলিটি সার্ভে’। উত্তরবঙ্গের জন্যও রয়েছে একগুচ্ছ সড়ক এবং সেতুর প্রস্তাব। যেখানে গত লোকসভা নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেয়েছিল শাসকদল তৃণমূল। আগামী অর্থবর্ষের জন্য এই সব প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ২৪৭৫ কোটি টাকা। ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৭৩টি পুরনো সেচ ও নিকাশি খালের উপরে কাঠের সেতুর বদলে কংক্রিটের সেতুর পরিকল্পনার কথাও বলা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, ২০১১ সালের পর থেকে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিমানবন্দরগুলিতে যাত্রীর সংখ্যা বিপুল ভাবে বেড়েছে। ভবিষ্যতে বালুরঘাট, মালদহ এবং কোচবিহার থেকে বিমান চলাচলের ব্যবস্থা করতে সাহায্য করবে রাজ্য। পাশাপাশি তুলে ধরেছেন রাজ্যের শিল্প এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে তাজপুর বন্দর, অশোকনগরের গ্যাস উত্তোলন, ডেউচা পাঁচামির ভূমিকার কথা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেটে এ রাজ্যে জাতীয় সড়ক প্রকল্পে ২৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। জানিয়েছিলেন, রেল এবং মেট্রো রেল প্রকল্পগুলিতেও প্রয়োজনীয় খরচ দেওয়া হবে। এ বার পরিকাঠামোয় জোর দেওয়ার কথা জানাল রাজ্যও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy