দেশের প্রধান রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা হল লাইফ ইনসুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। এলআইসির পলিসি থেকে টাকা রেখে মোটা অঙ্কের টাকা রিটার্ন পেতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। এ ছাড়া আপনার জীবন থেমে গেলেও যাতে আপনার পরিবার থেমে না যায় তার ব্যবস্থা করে এলআইসি। আজকাল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পড়াশোনায় এসেছে নানা প্রযুক্তিগত এবং পুথিগত পরিবর্তন। সে ক্ষেত্রে সেই সমস্ত কোর্সের জন্য খরচ হয় অনেক টাকা। শুধু পড়াশোনাই নয়, সন্তানদের বিয়েও পরিবারের কাছে একটা বড় দায়িত্ব, খরচসাপেক্ষও বটে। শিক্ষা এবং বিয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই আগে থেকে পুঁজি সঞ্চয় না করে রাখলে ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ অন্ধকার। তাই আজকাল অনেকেই একদম ছোটবেলা থেকে সন্তানদের জন্য সঞ্চয় করতে থাকেন।
কন্যাসন্তানদের জন্য বিশেষ সেভিংস স্কিম চালু করেছে এলআইসি। যার নাম, ‘এলআইসি কন্যাদান পলিসি’। সাধারণত কন্যাসন্তানদের শিক্ষা এবং বিবাহের খরচ মেটানোই হল এই স্কিমের মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন:
কোন বয়সে এই পলিসি করতে পারবেন?
এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে মেয়ের পিতাকেই চালাতে হবে পলিসি। সন্তানের এই অ্যাকাউন্টে কোনও প্রবেশাধিকার নেই। পিতার মৃত্যুর পর কন্যা এ পলিসির যাবতীয় সুযোগসুবিধা পাবেন। এ পলিসির মেয়াদ ২৫ বছর। বিমার সর্বনিম্ন মেয়াদ ১৩ বছর, সর্বোচ্চ ২৫ বছর। সন্তানের পিতার বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। ই পলিসিতে মেয়ের বয়সের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন মেয়াদ আছে। তবে এটি পলিসির সীমা হ্রাস করবে এবং প্রিমিয়াম বৃদ্ধি করবে। একইসঙ্গে পলিসি ধারক যদি কোনও কারণে পলিসি নেওয়ার পরে গত হন, সে ক্ষেত্রে পরিবারকে অবশিষ্ট প্রিমিয়াম দিতে হবে না।
এলআইসি কন্যাদান পলিসির বৈশিষ্ট্য কী?
এলআইসি কন্যাদান পলিসিতে কন্যার বাবার মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে কোনও প্রিমিয়াম দিতে হবে না। মেয়ের বাবার যদি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হয়, সে ক্ষেত্রে পরিবার ১০ লক্ষ টাকা পাবে। এ ছাড়া স্বাভাবিক মৃত্যু হলে পরিবারকে দেওয়া হবে পাঁচ লক্ষ টাকা। এর পাশাপাশি ম্যাচিওরিটির সময় পর্যন্ত পরিবার প্রতি বছর ৫০ হাজার টাকা করে পাবে। এই পলিসিতে প্রতি দিন ৭৫ টাকা করে দিলেই মেয়ের বিয়ের সময় হাতে আসবে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা। আর যদি আপনি প্রতি দিন ১৫১ টাকা খরচ করেন, তা হলে ম্যাচুরিটিতে মিলবে ৩১ লাখ টাকা।
এলআইসির এই কন্যাদান পলিসিতে আপনি যদি প্রতি দিন ১২১ টাকা করে দেন, তা হলে আপনার প্রিমিয়াম সম্পূর্ণ হলে আপনি একসঙ্গে মোট ২৭ লক্ষ টাকা পাবেন।