আমেরিকার শুল্কনীতি সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। সাধারণ ক্রেতা ও সংস্থার মধ্যে আস্থার অভাব প্রকট। আর তার জেরে ঝুঁকির মুখে গোটা এশিয়ার অর্থনীতি— দাবি মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ়-এর। রিপোর্টে দাবি, ভারতীয় অর্থনীতি অনেকাংশে ঘরোয়া চাহিদার উপর নির্ভর করে বলে অন্য অনেক দেশের তুলনায় পরিস্থিতি ভাল। তবে আগামী কয়েক বছরে ঘরোয়া চাহিদা ধাক্কা খাওয়ার এবং বহু সংস্থার লগ্নিতে আগ্রহ হারানোর আশঙ্কাও থাকছে। সব মিলিয়ে এই অঞ্চলের অর্থনীতি ধাক্কা খেতে পারে।
তার উপর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্যান্য দেশের উপর শুল্ক বসানো স্থগিত রাখলেও, চিনকে বাদ দিয়েছেন। উল্টে চিন-আমেরিকার শুল্ক যুদ্ধে এশীয় অঞ্চলে আরও ঘনীভূত হয়েছে মেঘ। চিনা পণ্যে শুল্ক বসেছে ১৪৫%। পাল্টা বেজিং আমেরিকার পণ্যে চাপিয়েছে ১২৫%। ভারত-সহ অন্যান্য দেশেও ১০% ন্যূনতম শুল্ক চেপে রয়েছে। মুডি’জ়-এর মতে, এ সবের ফলেই এশীয় অঞ্চলের আর্থিক বৃদ্ধির হার সঙ্কটের মুখে। সম্প্রতি মুডি’জ় অ্যানালিটিক্স ২০২৫-এ ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৪% থেকে কমিয়ে ৬.১% করেছে।
মুডি’জ়-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকি ড্যাং-এর মতে, বিশ্বায়ন থেকে সরে আসার প্রবণতা শুল্ক স্থগিত রেখে রোখা যাবে না। এতে একটু শ্বাস নেওয়ার সময় খুলেছে বটে। কিন্ত অনিশ্চয়তা কাটেনি। স্বচ্ছ বাণিজ্য নীতির অভাবে ধাক্কা লেগেছে ক্রেতা এবং শিল্পের আস্থায়। যা চাহিদা কমিয়ে শ্লথ করতে পারে বৃদ্ধির হারকে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)