কিছু সংস্থার আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ যেন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল বাজারে। এর ধাক্কায় শুক্রবার দুপুরে প্রায় ১,১২৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স। যাকে এ দিন সকালে ৩০০ পয়েন্ট বাড়তে দেখেছিলেন লগ্নিকারীরা।
পরে অবশ্য বেশ কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে আগের দিনের থেকে ২৭৯.৬২ পয়েন্ট নীচে থামে সেনসেক্স। দাঁড়ায় ৩৬,৮৪১.৬০ অঙ্কে। কিন্তু ততক্ষণে দিনভর প্রায় ১,৫০০ পয়েন্ট ওঠানামা করে ফেলেছে বাজার। আর টানা চার দিনের পতনে মুছেছে লগ্নিকারীদের ৫.৬ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ।
পরিকাঠামোয় ঋণদাতা সংস্থা আইএল অ্যান্ড এফএস আর্থিক সমস্যায় লগ্নিকারীদের ঋণপত্রের টাকা মেটাতে পারবে কি না, সেই আশঙ্কায় ক’দিন ধরেই ভুগছে বাজার। এ দিন জল্পনা ছড়ায় গৃহঋণ সংস্থা দিওয়ান হাউসিং ফিনান্সও একই সঙ্কটে। ফলে এক সময় তাদের শেয়ার দর ৬০% পড়ে যায়। যার জেরে নামতে থাকে বিভিন্ন গৃহঋণ সংস্থা এবং ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির (এনবিএফসি) শেয়ারের দাম। পরে দিওয়ান কর্তৃপক্ষ আর্থিক অবস্থা নিয়ে অভয় দিলে পরিস্থিতি শোধরায়। ইয়েস ব্যাঙ্কের দরের প্রায় ২৯% ধাক্কা খাওয়াও পতনে ইন্ধন জুগিয়েছে।
তবে আধার হাউসিং ফিনান্সের সিএফও অনমোল গুপ্তর দাবি, ‘‘গৃহঋণ সংস্থাগুলি ঋণ দেয় বাড়ি বন্ধক রেখে। তাই অন্যান্য বহু ঋণের তুলনায় তা বেশি সুরক্ষিত।’’ দেকো সিকিউরিটিজের কর্তা অজিত দে বলেন, ‘‘আজ যা ঘটেছে, তা গুজবের জের। লগ্নিকারীরা সেটা বুঝতে পারায় বাজার দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’’
যদিও স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখের মতে, ‘‘সূচক ফাঁপা জমিতে দাঁড়িয়ে বলেই দিওয়ানের মতো সংস্থাকে নিয়ে জল্পনায় কম সময়ে এতটা পড়েছে সূচক।’’ অনেকের অবশ্য মত, গৃহঋণ সংস্থাগুলিকে ঘিরে সমস্যা সাময়িক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy