ডলারের সাপেক্ষে নাগাড়ে বাড়ছে টাকার দাম। শেয়ার বাজারের উত্থানেও বিরাম নেই এই মুহূর্তে। যার নিট ফল, গত তিন দিনে টাকার নিরিখে ডলার নীচে নেমেছে ১৫১ পয়সা। বুধবার দিনের শেষে এক ডলার দাঁড়িয়েছে ৭০.৩৯ টাকায়। আর টানা সাত দিনে ১,৫২৪ পয়েন্ট উঠেছে সেনসেক্স। এ দিন তা থিতু হয়েছে ৩৬,৪৮৪.৩৩ অঙ্কে।
এ দিন অবশ্য এক সময় ডলার ৭০ টাকারও নীচে নেমে গিয়েছিল। রফতানিকারী এবং ব্যাঙ্কগুলি তা বেচতে থাকায়। ঠেকেছিল ৬৯.৮৬ টাকায়। পরে দাম কিছুটা বাড়ে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর অন্যতম কারণ বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল সস্তা হওয়া। এ দিন যা গত এক বছরের মধ্যে সব থেকে নীচে নামে। ব্রেন্ট ক্রুড পিছলে যায় ব্যারেল প্রতি ৫৬.২৭ ডলারে। এতে ভারতের তেল কেনার খরচ আগের থেকে কমেছে। ডলার বার করতে হচ্ছে কম। ফলে মার্কিন মুদ্রার চাহিদা তেমন বাড়ছে না। তার উপর বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ফের ভারতে লগ্নির ঝুলি নিয়ে ফিরেছে। শুধু এ দিনই ১,২০৯.২১ কোটি টাকা ঢেলেছে তারা। বেড়েছে ডলারের জোগান।
আইসিআইসিআই প্রুডেন্সিয়াল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের কর্তা চিন্তন হারিয়া বলেন, ‘‘বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ফিরছে ভারতের শেয়ার ও বন্ড বাজারেও। ফলে দেশে আমদানি বেড়েছে ডলারের। যার তার দাম কমানোর রসদ জোগাচ্ছে।’’ তাঁর মতে, আমেরিকায় এখন সুদ বাড়ার সম্ভাবনা কম বলেই প্রত্যাবর্তন।
এক দিকে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমা ও দেশে টাকার দাম বাড়া। অন্য দিকে বাজারে নগদের জোগান বাড়াতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষণা। মূলত দুই কারণ শেয়ার বাজারকেও আরও চাঙ্গা করেছে এ দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy