দেশে প্রতি বছর লাফিয়ে বাড়ছে চোরাই ও নকল পণ্যের অনুপ্রবেশ। তাতে শুধু শিল্প সংস্থারই নয়, হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে কেন্দ্রের রাজস্বেরও। তা ঠেকাতে নজরদারির জন্য পণ্যবাহী ট্রাকে এ বার ‘রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন’ (আরএফআইডি) প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা ভাবছে কেন্দ্র।
চোরাই ও নকল পণ্য শিল্পমহল ও সরকার, উভয়েরই মাথাব্যথার কারণ। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিকি-র সভায় সমস্যা ও তার সম্ভাব্য সমাধান খুঁজতে উপস্থিত ছিল উভয়পক্ষ। ফিকি-র সংশ্লিষ্ট কমিটির পরামর্শদাতা তথা দিল্লি পুলিশের প্রাক্তন কর্তা দীপ চাঁদের দাবি, ২০১৩-’১৪ সালে চোরাই ও নকল পণ্যের জন্য শুধু ৭টি শিল্পে (যেমন তামাকজাত, গাড়ির যন্ত্রংশ, মোবাইল ইত্যাদি) কেন্দ্রের রাজস্ব ক্ষতি ছিল ৩৯,২৩৯ কোটি টাকা। দু’বছরে তা প্রায় ৪৫% বেড়েছে। এর মধ্যে ফোন, মদ ও তামাকজাত পণ্যে ক্ষতি সবচেয়ে বেশি। অন্য দিকে, এ জন্য সংস্থাগুলির ব্যবসা মার খাচ্ছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতার শতাব্দী প্রাচীন সংস্থা বেঙ্গল কেমিক্যালসের নকল পণ্য বিক্রির অভিযোগে পুলিশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করেছে।
আরও পড়ুন: দিল্লির তাজ মানসিংহ হোটেল নিলামে সায়
সভায় রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের অভিযোগ, এ রাজ্য ছুঁয়ে নেপাল বা ভুটানের মতো প্রতিবেশী দেশে যাওয়া কিছু পণ্যবাহী ট্রাক কলকাতার আশপাশে বেআইনি ভাবে মাল খালাস করে। তাই সহজেই চোরাই বা নকল পণ্য স্থানীয় বাজারে ঢোকে। তা রুখতে শুল্ক দফতরের কড়া নজরদারি প্রয়োজন। কলকাতায় শুল্ক দফতরের ডেপুটি কমিশনার (বন্দর) এম কে শর্মার দাবি, বিমানবন্দর বা বন্দরে যেখানে তাঁদের দফতর রয়েছে, সেখানে নজরদারি চালানো হয়। তবে ট্রাক নির্দিষ্ট ‘রুট’ থেকে সরে গিয়ে যে ওই ধরনের পণ্য খালাস করার সুযোগ নিতে পারে, তা কার্যত মেনে নেন তিনি। তাই মাঝপথেও নজরদারি চালাতে ট্রাকে যন্ত্রটি লাগানোর কথা ভাবছে শুল্ক দফতর। তিনি জানান, মাস কয়েক আগেই বাংলাদেশ সীমান্তে পেট্রাপোল থেকে কলকাতা হয়ে দিল্লির তুঘলকাবাদ পর্যন্ত রাস্তায় চলা ট্রাকে ওই যন্ত্র লাগিয়ে পাইলট প্রকল্প শুরুও হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy