অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
নয়াদিল্লি, ২৩ নভেম্বর: নতুন বেসরকারি লগ্নি কার্যত নেই অনেক দিন। তার প্রভাব পড়েছে কর্মসংস্থানে। অতিমারির ধাক্কায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এই অবস্থায় দেশের শিল্পমহলকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
জানালেন, অতিমারির বিরূপ প্রভাবকে সুযোগে পরিণত করতে চান তাঁরা। তাই সংস্কারের প্রশ্নে মোদী সরকার থেমে নেই। সোমবার বণিকসভা সিআইআইয়ের এক কর্মসূচিতে নির্মলা জানান, কেন্দ্রের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক লগ্নির বাজারে ভারতকে আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলা। আজ একই কথা বলেছেন কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন ও নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত।
করোনা সামাল দিতে লকডাউনের পথে হেঁটেছিল কেন্দ্র। কিন্তু তাতে কিছু দিনের জন্য অর্থনীতি কার্যত স্তব্ধ হওয়ায় অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি কমে ২৩.৯%। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের আশঙ্কা, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও সম্ভবত সঙ্কুচিত হয়েছে অর্থনীতি। প্রশ্ন উঠেছে কেন্দ্রের দেওয়া তিন দফা ত্রাণ প্রকল্পের ‘সুফল’ নিয়ে। তবে সমালোচনা সত্ত্বেও এই সময়ে শ্রম ও কৃষি ক্ষেত্রের সংস্কার করতে কেন্দ্র পিছপা হয়নি বলে দাবি নির্মলার। তিনি বলেন, ‘‘অতিমারির সময়েও প্রধানমন্ত্রী সংস্কারের সুযোগ হাতছাড়া করেননি। কেন্দ্র এমন কিছু পদক্ষেপ করেছে যা গত এক দশকে করা সম্ভব হয়নি। সংস্কারের এই গতি ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখা হবে।’’
অতিমারির সময়েও প্রধানমন্ত্রী সংস্কারের সুযোগ হাতছাড়া করেননি। কেন্দ্র এমন কিছু পদক্ষেপ করেছে, যা এক দশকে করা যায়নি। সংস্কারের এই গতি অব্যাহত রাখা হবে। এ ধরনের আরও পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
নির্মলা সীতারামন
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী
যদি কৃষি ও শ্রম ক্ষেত্রের সংস্কার, উৎপাদনে উৎসাহ প্রকল্প, ছোট শিল্পের সংজ্ঞা বদলের দিকে তাকান, তা হলে বুঝবেন পুরোটাই জাতীয় অর্থনীতির রূপরেখা বদলের লক্ষ্যে করা।
কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন
মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা
সুব্রহ্মণ্যন জানান, অতিমারি মূলত ধাক্কা দিয়েছে চাহিদায়। তা যাতে ফের মাথা তুলতে পারে, সে জন্য কেন্দ্র এমন কিছু ক্ষেত্রে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ করেছে, যেখানে তার সুফল পৌঁছলে কর্মসংস্থান বাড়তে পারে। সেই পথেই বাড়বে চাহিদা। মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বৃদ্ধির মুখ দেখবে অর্থনীতি। তাঁর কথায়, ‘‘কৃষি ও শ্রম ক্ষেত্রের সংস্কার, উৎপাদনে উৎসাহ প্রকল্প, ছোট শিল্পের সংজ্ঞা বদলের দিকে তাকালে বোঝা যাবে, তা জাতীয় অর্থনীতির রূপরেখা বদলের লক্ষ্যে করা।’’ এই প্রসঙ্গে রাজ্যগুলির মধ্যে সহজে ব্যবসার পরিবেশ সংক্রান্ত ক্রমতালিকা এবং পরিকাঠামো প্রকল্পে লগ্নিতে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন কান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy