দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করতে উন্নত বিশ্ব থেকে আমদানি করা পণ্যে উঁচু শুল্ক প্রয়োগ এত দিন ছিল উন্নয়নশীল দেশগুলির অস্ত্র। বরাবর যে কৌশলের সমালোচনা করে এসেছে প্রথম বিশ্ব। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ কি সেই ব্যবস্থাকে পুরোপুরি উল্টে দিল? ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে কি এই বিষয়টিই থাকতে চলেছে? সূত্রের ইঙ্গিত অন্তত তেমনই। অতিরিক্ত বাণিজ্য সচিব রাজেশ আগরওয়ালের নেতৃত্বে একটি সরকারি প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে তিন দিনের ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছে। বুধবার থেকে আলোচনা শুরু করবে তারা।
বাণিজ্য আলোচনার শর্তগুলি ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করে ফেলেছে দুই পক্ষ। সরকারি সূত্রের খবর, তার মধ্যে ১৯টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। পণ্য, শুল্ক, বাণিজ্যে অন্যান্য বাধা, আমদানি-রফতানিতে পারস্পরিক সুবিধা-সহ বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে তার মধ্যে। আগামী বুধবার থেকে আমেরিকার যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হবে, সেখানে চূড়ান্ত বাণিজ্য আলোচনার শর্তের আরও পরিমার্জন হবে। সমস্ত দেশের উপরে ন্যূনতম ১০% আমদানি শুল্ক প্রয়োগ করে প্রস্তাবিত অতিরিক্ত শুল্ক ৯০ দিন স্থগিত রেখেছেন ট্রাম্প। তার মধ্যে অন্তত একটি অন্তর্বর্তী বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে চায় দিল্লি। সরকারি প্রতিনিধি দলটি আলোচনার প্রাথমিক ভিতটি তৈরি করে এলে মূল বাণিজ্য বৈঠক শুরু হবে। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, ‘‘দু’পক্ষই বলবে তারা কে কী চায়। সেই অনুযায়ী শর্তের পরিমার্জন হবে। তার মধ্যে শুল্ক-সহ বাণিজ্যের বিভিন্ন বাধা, পণ্যের মূল উৎস, নিয়ন্ত্রণ বিধি-সহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)