Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

ধার মেটাবে আর-কম, আশ্বাস অনিলের

শুক্রবার রিলায়্যান্স এডিএজি গোষ্ঠীর কর্ণধারের দাবি, কানাডার ব্রুকফিল্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে টাওয়ার ব্যবসার একাংশ বিক্রি করে এবং এয়ারসেলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ ‘এয়ারকম’ গড়ে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই কমবে ৬০% ধারের বোঝা। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ২৫,০০০ কোটি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৭ ১৪:৪০
Share: Save:

কাঁধে ৪৫,০০০ কোটি টাকা ঋণের বোঝা। মাসুল যুদ্ধের জেরে গত অর্থবর্ষে প্রথম লোকসান হয়েছে সংস্থার। ধার আদৌ শোধ করা যাবে কি না, সেই আশঙ্কা থেকে রেটিং কমিয়েছে মূল্যায়ন সংস্থা। গত কয়েক দিনে মুছে গিয়েছে অর্ধেকেরও বেশি শেয়ারমূল্য। এই অবস্থায় রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্সের (আর-কম) ঋণদাতা ব্যাঙ্ক এবং লগ্নিকারীদের আশ্বস্ত করতে মাঠে নামলেন চেয়ারম্যান অনিল অম্বানী।

শুক্রবার রিলায়্যান্স এডিএজি গোষ্ঠীর কর্ণধারের দাবি, কানাডার ব্রুকফিল্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে টাওয়ার ব্যবসার একাংশ বিক্রি করে এবং এয়ারসেলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ ‘এয়ারকম’ গড়ে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই কমবে ৬০% ধারের বোঝা। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ২৫,০০০ কোটি।

অম্বানী জানান, এই পরিকল্পনার জেরেই দেশি-বিদেশি ব্যাঙ্কগুলি সংস্থাকে ঋণ শোধের জন্য সাত মাস সময় দিতে রাজি হয়েছে। তৈরি করেছে যৌথ ফোরাম। ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণ শোধ না-হলে ওই ফোরামের মাধ্যমে ধারের সম পরিমাণ শেয়ার হাতে নেবে ঋণদাতারা। বাদবাকি ২০,০০০ কোটি ধার মেটাতেও পরিকল্পনা পেশ করা হবে বলে জানান তিনি। সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিক্রির মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি, আর-কমের রেটিং কমানোয় এ দিন ফিচ, কেয়ার, ইক্রা, মুডিজের মতো মূল্যায়ন সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে হতাশা প্রকাশ করেন অনিল।

প্রসঙ্গত, বড় ভাই মুকেশ জিও-র হাত ধরে টেলিকম ব্যবসায় পা রাখার পরে প্রায় সুনামি আছড়ে পড়েছে টেলি শিল্পে। মাসুল যুদ্ধের জেরে মুনাফা কমা বা ক্ষতির কথা ঘোষণা করেছে একের পর এক সংস্থা। আর-কমও ব্যতিক্রম নয়। এ দিন অনিলের সংস্থার ইঙ্গিত, ধুঁকছে পুরো টেলিকম শিল্পই। স্পেকট্রামের খরচ বিপুল। মাথায় ধারের বোঝা। তার উপরে চড়া করের হারও। সব মিলিয়ে টেলিকম শিল্পের পরিস্থিতি বেশ জটিল। এমনকী ৪০ হাজার কাজ ছাঁটাই হতে পারে বলেও দাবি তাদের।

অন্য বিষয়গুলি:

RCom Anil Ambani Debt
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE