বাজারে ব্যাঙ্কনোটের আর্থিক মূল্য এবং সংখ্যা, দুই-ই বেড়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। প্রতীকী ছবি।
ডিজিটাল লেনদেন বাড়াতে বাজার থেকে নগদ কমিয়ে আনার কথা ২০১৬ সালের নভেম্বরে পুরনো পাঁচশো-হাজার টাকার নোট বাতিলের সময় থেকে বলে আসছে মোদী সরকার। এখন ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার সময়েও উঠছে সেই প্রসঙ্গ। কিন্তু মঙ্গলবার প্রকাশিত রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) বাজারে ব্যাঙ্কনোটের আর্থিক মূল্য এবং সংখ্যা, দুই-ই বেড়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। এ দিনই মহারাষ্ট্র পুলিশের দাবি, দু’হাজারি নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত মাওবাদীদের কাছে বড় ধাক্কা। তেন্দু পাতা এবং পূর্ত দফতরের ঠিকাদারদের থেকে তারা যে তোলা আদায় করেছিল, তার বড় অংশ ২০০০ টাকার নোটে। এই প্রসঙ্গে অনেকেই মনে করাচ্ছেন ওই নোট আসার পরে বিশেষজ্ঞদের বড় অংশের সতর্কবার্তা— এতে কালো টাকার কারবারিদের আদতে সুবিধা হবে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষে নোটের আর্থিক মূল্য ও সংখ্যা বেড়েছে যথাক্রমে ৭.৮% এবং ৪.৪%। যা ২০২১-২২ অর্থবর্ষের (৯.৯% এবং ৫%) চেয়ে কম। বাজারে থাকা নোটের মূল্য ৩১,০৫,৭২১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৩,৪৮,২২৮ কোটি। এর মধ্যে ৫০০ এবং ২০০০ টাকার মোট অবদান ৮৭.৯%। গত ৩১ মার্চের হিসাবে, অর্থ ব্যবস্থায় সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে বেশি রয়েছে ৫০০ টাকা (৩৭.৯% বা ৫,১৬,৩৩৮ লক্ষ)। তার পরেই ১০ টাকা (১৯.২%)। ১০০ টাকার নোট অবশ্য মূল্য (৫.৮% থেকে ৫.৪%) এবং সংখ্যা (১৩.৯% থেকে ১৩.৩%), দুই মাপকাঠিতেই কমেছে। নতুন নোট ছাপাতে খরচ ৪৯৮৪.৮০ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ৪৬৮২.৮০ কোটি। শীর্ষ ব্যাঙ্ক বলেছে, পাইকারি বাজারে তাদের নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল মুদ্রা বা ই-রুপির অঙ্ক এখন ১০.৬৯ কোটি টাকা। খুচরো বাজারে ৫.৭০ কোটি। আরও কিছু শহর, ব্যাঙ্কে তার পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy