ফাইল চিত্র।
এক দিকে, মোদী সরকারের বিপুল ঋণ সামলাতে সরকারি ঋণপত্র কিনতে গিয়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের অনেক টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, অর্থনীতির সঙ্কট বাড়লে দরকার পড়বে ভেবে ১.১৪ লক্ষ কোটি টাকা জরুরি প্রয়োজনের তহবিলে তুলে রাখা হয়েছে। এই কারণেই আরবিআই ডিভিডেন্ড বাবদ কেন্দ্রের হাতে গত অর্থবর্ষের জন্য ৩০,৩০৭ কোটি টাকা দিয়েছে। কম ডিভিডেন্ড দেওয়া নিয়ে নানা জল্পনার মুখে শুক্রবার এমনই ব্যাখ্যা মিলেছে আরবিআইয়ের বার্ষিক রিপোর্টে।
করোনার প্রথম ঢেউয়ের মধ্যেও শীর্ষ ব্যাঙ্ক ২০২০-২১ সালে সরকারকে ৯৯,১২২ কোটি টাকা ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। কিন্তু গত অর্থবর্ষের (২০২১-২২) জন্য তা ৩০,৩০৭ কোটিতে নামতেই প্রশ্ন উঠছে, টাকার অঙ্ক এত কমল কেন? আজ আরবিআইয়ের বার্ষিক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, বিমল জালানের কমিটির সুপারিশ মেনেই তারা মোট সম্পত্তির অন্তত ৫.৫ শতাংশ অর্থ জরুরি প্রয়োজনের তহবিলে রেখেছে। অর্থ মন্ত্রকের একাংশের মত ছিল, কোভিডের গ্রাস থেকে অর্থনীতিকে চাঙ্গা এত অর্থ জরুরি তহবিলে না রেখে সরকারকে আরও বেশি ডিভিডেন্ড দিক রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, শীর্ষ ব্যাঙ্কে শেষ পর্যন্ত নিজের স্বাতন্ত্র বজায় রেখেছে।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, আরও বেশি ডিভিডেন্ড দেওয়ার অর্থ ছিল অর্থনীতিতে আরও বেশি নগদ জোগানো। এক দিকে যখন সুদ বাড়িয়ে বাজার থেকে নগদ শুষে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হচ্ছে, তখন ডিভিডেন্ডের পরিমাণ বাড়িয়ে তার উল্টো পথে হাঁটেনি আরবিআই।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy