পেট্রল, ডিজেলের চড়া দরের আঁচ থেকে কিছুটা অন্তত রেহাই দিতে লিটার পিছু আড়াই টাকা দাম কমানোর রাস্তা বৃহস্পতিবারই বাতলেছে কেন্দ্র। শুক্রবার আবার এই সমস্যার কথা বলে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল উৎপাদন বাড়ানোর মৌখিক প্রতিশ্রুতি আদায় করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এই সমস্ত কিছুর পরেও বিরোধীদের আক্রমণ থামেনি। এক দিকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর দাবি, অবিলম্বে জিএসটির আওতায় আনা হোক পেট্রল, ডিজেলকে। আবার অন্য দিকে তেলের দাম কম থাকতে বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি না করে রাখার জন্য কেন্দ্রকে ফের এক হাত নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
কেন্দ্রের ঘোষণা মতো এ দিন থেকেই নতুন দাম কার্যকর হয়। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ-সহ বিজেপিশাসিত অনেক রাজ্য ভ্যাটও কমানোয় সেখানে তেলের দাম আরও কিছুটা কমেছে। তবে ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের দাবি, নতুন দাম নিয়ে গোড়ার দিকে ধোঁয়াশা ছিল এ রাজ্যে। বেশিরভাগ পাম্পই বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত নতুন দাম জানতে পারেনি। পরে যদি বা তা মেলে, পেট্রলের দাম দু’বার দু’রকম জানায় রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। প্রথমে ২.৪৫ টাকা কমানো হয়েছিল। পরে ২.৫০ টাকাই কমানো হয়।
তবে এই ছাড়ে তাঁরা যে সন্তুষ্ট নন এ দিন ফের তা বুঝিয়ে দিয়েছেন রাহুল ও অমিতবাবু। এ দিন এক অনুষ্ঠানে অমিতবাবুর দাবি, যখন তেলের দাম কম ছিল, তখনই কেন্দ্রের উচিত ছিল তেলের বিকল্প মজুত ভাণ্ডার তৈরি করা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিনও তেলের দাম ১০ টাকা কমানোর দাবি তুলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy