Advertisement
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিজয় কি ব্রিটেনের গ্রামের বাড়িতে, উঠছে প্রশ্ন

বেকার স্ট্রিটে শার্লক হোমসের বাড়ি। আবার মাদাম তুসোর মোমের মিউজিয়ামও। নানা বিখ্যাত ব্যক্তির প্রতিকৃতি আছে সেখানে। ওই রাস্তাতেই মোমের মিউজিয়ামের দু’টি বাড়ি পরে বিজয় মাল্যের লন্ডনের ঠিকানা। হাজার হাজার কোটি টাকার দেনা না মিটিয়ে যাঁর দেশ ছেড়ে পালানোর খবর নিয়ে আপাতত সরগরম ভারতের রাজনীতি ও শিল্প জগৎ।

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৬ ০৪:১৫
Share: Save:

বেকার স্ট্রিটে শার্লক হোমসের বাড়ি। আবার মাদাম তুসোর মোমের মিউজিয়ামও। নানা বিখ্যাত ব্যক্তির প্রতিকৃতি আছে সেখানে। ওই রাস্তাতেই মোমের মিউজিয়ামের দু’টি বাড়ি পরে বিজয় মাল্যের লন্ডনের ঠিকানা। হাজার হাজার কোটি টাকার দেনা না মিটিয়ে যাঁর দেশ ছেড়ে পালানোর খবর নিয়ে আপাতত সরগরম ভারতের রাজনীতি ও শিল্প জগৎ।

২ মার্চ থেকে মাল্য ব্রিটেনেই আছেন বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্টও। ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনেরও নাগরিক তিনি। তাই লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে বেকার স্ট্রিটের ঠিকানায় তাঁকে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। একটি টিভি চ্যানেলের অবশ্য দাবি, বেকার স্ট্রিটের ঠিকানাতে নেই মাল্য। কোথায় তিনি তা জানতে হোমসের মতোই তদন্তে নেমেছিল চ্যানেলটি।

তাদের দাবি, লন্ডন থেকে ঘণ্টাখানেক দূরে হার্টফরশায়ারের টিওয়েন গ্রামে মাল্যের গ্রামের বাড়ি। ব্রিটিশ ধনীদের পরিভাষায় যার নাম ‘কানট্রি হাউস’। টিওয়েনের কুইন হু রো়ডে সবচেয়ে বড় বাংলোটাই মাল্যের ‘কানট্রি হাউস’। নাম ‘লেডিওয়াক’। চ্যানেলটির সাংবাদিকেরা জানাচ্ছেন, টিওয়েনে বেশ পরিচিত মুখ মাল্য। মাঝে মধ্যেই স্থানীয় পাবে দেখা যায় তাঁকে। ‘লেডিওয়াক’-এর সাজসজ্জা ব্রিটেনের অন্য ধনীদের বাড়ির চেয়ে কম কিছু নয়। নিরাপত্তার ব্যবস্থাও আঁটোসাঁটো। বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা চ্যানেলের এক সাংবাদিককে প্রথমে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ওই বাড়িতেই আছেন মাল্য। পরে সাংবাদিক বুঝতে পেরে জানিয়ে দেন, তিনি নেই।

কিন্তু স্থানীয় এক বাসিন্দা জানাচ্ছেন, মাল্য টিওয়েনেই আছেন বলে তাঁর বিশ্বাস। কারণ, বেশ কিছু দামি গাড়িতে ঘোরাফেরা করেন তিনি। তাতে টিওয়েনের শান্ত, নিস্তরঙ্গ জীবনে কিছুটা হইচই হয়। এখন সেই হইচই চলছে। ‘‘আরে কালই তো দেখলাম ‘ফোর্স ইন্ডিয়া’ লেখা কালো অডি গাড়ি চড়ে ওই বাড়িতে এলেন এক মহিলা’’-বলছেন তিনি।

টিওয়েনে তিনি এলে কেমন হইচই হয়, সে কথা জানিয়েছেন স্থানীয় ‘হোয়াইট হর্স’ পাবের এক কর্মীও। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের পাবে প্রায়ই আসেন ভি জে। শেষ বার তরুণ-তরুণীদের বিশাল এক দলের সঙ্গে এসেছিলেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE