—প্রতীকী ছবি।
গত বর্ষায় অনিয়মিত বৃষ্টির জেরে প্রত্যাশা অনুযায়ী আনাজের দাম কমেনি শীতের মরসুমে। ফলে এ বার গ্রীষ্মে বাজারের থলে হাতে বেরনো সাধারণ মানুষের পকেট আরও কতটা পুড়বে, সেই প্রশ্ন থাকছেই। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিলের সমীক্ষা জানাল, খাবারের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে গত মাসও। আগের বছরের মার্চের তুলনায় এ বার নিরামিষ থালি রান্নার খরচ বেড়েছে ৭%। সে বার একটি থালির দাম ছিল ২৫.৫ টাকা। এ বছর হয়েছে ২৭.৩ টাকা। সমীক্ষা বলছে, মূলত পেঁয়াজ, টোম্যাটো এবং আলুর দাম বৃদ্ধিই এর কারণ।
এই তথ্য এমন সময় সামনে এল, যখন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি বৈঠক চলছে। অর্থনীতিবিদেরা বলেছেন, মূল্যবৃদ্ধি ৪% লক্ষ্যমাত্রার কাছে না নামলে এবং খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে সুদ কমাবে না রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। তাই এ বারও তা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ জানানো হবে সিদ্ধান্ত।
তবে ফেব্রুয়ারির (২৭.৪ টাকা) থেকে নিরামিষ থালির দাম মার্চে অতি সামান্য কমেছে। অন্য দিকে, বছরের নিরিখে ৭% সস্তা হয়েছে আমিষ থালি। গত বছরের ৫৯.২ টাকা থেকে নেমেছে ৫৪.৯ টাকায়। যদিও ফেব্রুয়ারির ৫৪ টাকা থেকে তা বেশি।
দেশে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ে ক্রিসিল মার্কেট ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালিসিস চালায় ‘থালি-সমীক্ষা’। তাতে মাসে মাসে ‘রুটি ভাতের দাম’ (রোটি রাইস রেট) রিপোর্টটি প্রকাশ করে তারা। হিসাব করা হয় নিরামিষ থালিতে রুটি, আনাজ (পেঁয়াজ, টোম্যাটো, আলু), ভাত, ডাল, দই এবং সালাড আছে ধরে নিয়ে। আমিষে থাকে ডালের বদলে মুরগির মাংস। সমীক্ষা বলছে, আমিষ থালির অর্ধেক জুড়ে মাংস থাকায় গত বছরের তুলনায় এটি রান্নার খরচ কমেছে। কারণ, মাংস সস্তা হয়েছে ১৬%। তবে ফেব্রুয়ারির থেকে দাম বেড়েছে ৫%।
কলকাতায় বৃহস্পতিবার কেজি প্রতি টোম্যাটো ছিল ২৫-৩০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ৭০-৮০ টাকা, ঝিঙে ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা। পশ্চিমবঙ্গ ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজ়েশনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘‘বছরের এই সময়ে সব আনাজের দামই ২৫-৩০ টাকা হওয়া উচিত। আশা করছি আগামী দিনে কমবে। মুসুর ডাল ছাড়া বাকি সব ডাল চড়েছে ১৫-২০ টাকা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy