প্রতীকী ছবি।
গ্রাহকেরা যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু বিদ্যুৎ পরিষেবা পান, সে জন্য নতুন বিধি আনল কেন্দ্র। যেখানে সব সময় বিদ্যুৎ পাওয়া, লোডশেডিং বা বিদ্যুতের মান খারাপ হলে গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ, স্বচ্ছ বিদ্যুৎ বিল, গ্রাহকদের সব অভিযোগের মীমাংসা, প্রবীণদের বাড়িতে গিয়ে পরিষেবা, সময় বেঁধে কাজের কথা বলা হয়েছে। সোমবার নতুন বিধির কথা ঘোষণা করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহ। তাঁর দাবি, এতে গ্রাহকদের অধিকার সুরক্ষিত হবে।
বহু দিন ধরেই বিদ্যুৎ আইনের সংশোধনী নিয়ে বিতর্ক চলছে। কেন্দ্র পুরনো আইন সংশোধন করতে চাইলেও, সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের অভিযোগ, ওই সংশোধনী আসলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে বেসরকারিকরণের চেষ্টা। এর মধ্যেই এ দিন নতুন বিধির কথা জানিয়ে সিংহ বলেন, ‘‘এতে গ্রাহকদের সুষ্ঠু, ভরসাযোগ্য ও উন্নত মানের বিদ্যুৎ পাওয়ার অধিকার আছে। নতুন সংযোগ, রিফান্ড ও অন্যান্য পরিষেবা সবই সময় বেঁধে হবে। ইচ্ছাকৃত ভাবে অধিকার খর্ব করা হলে বণ্টনকারী সংস্থার জরিমানা হবে।’’ সহজে ব্যবসার পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রেও বিধিটি জরুরি, দাবি মন্ত্রীর।
সিংহের দাবি, ‘‘সব রাজ্য ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিধি তৈরি হয়েছে। এতে কোনও রাজ্যের সমস্যা হবে না। কারণ, তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে না, সরকারি বা বেসরকারি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা করে।’’ এই বিধি সব রাজ্য মানবে এবং বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই বাস্তবায়িত হবে বলেও জানান তিনি। শুধু জরিমানা, বিদ্যুৎ জোগানের মান, কোথায় কত ঘণ্টা লোডশেডিং হলে ক্ষতিপূরণ চাওয়া যাবে, তা রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ঠিক করবে।
নয়া বিধিতে বলা হয়েছে মেট্রো শহরে ৭ দিন, অন্য পুরসভা এলাকায় ১৫ দিন ও গ্রামীণ এলাকায় ৩০ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে। সংযোগের আবেদন, বিলের টাকা মেটানোর মতো কিছু ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবস্থায় জোর দেওয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে বিধির ভিত্তিতে নিয়মকানুন ও মাপকাঠি স্থির করবে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। কখনও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হলে গ্রাহককে তা জানাতে হবে বণ্টন সংস্থাকে। আচমকা এমন কিছু হলে দ্রুত এসএমএস বা অন্য কোনও উপায়ে জানানো বাধ্যতামূলক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy