অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।
তিন এক্কে তিন!
তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে নরেন্দ্র মোদী মূলত তিনটি সূত্রের উপরে ভিত্তি করে আগামী পাঁচ বছরের আর্থিক নীতি ঠিক করতে চাইছেন। এক, গরিবদের জন্য নানারকম সাহায্য। বিশেষত গ্রামের গরিব মানুষের দিকে নজর। দুই, অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। তিন, পরিকাঠামোয় বিপুল অর্থ খরচ করে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা ও কর্মসংস্থান তৈরির চেষ্টা।
কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ সূত্রের খবর, জুলাইয়ের শেষেই সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন চলতি অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন। সেখানে এই তিন সূত্রের প্রতিফলন দেখা যাবে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, লোকসভা ভোটে গ্রামীণ এলাকার কেন্দ্রগুলিতে বিজেপি ধাক্কা খেয়েছে। সেই ক্ষত মেরামতে নজর দিতে চাইছে মোদী সরকার।
প্রধানমন্ত্রী নিজেই রাজ্যসভায় বলেছেন, আগামী পাঁচ বছর দারিদ্র দূরীকরণে তাঁর সরকার কিছু নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত নেবে। সূত্রের খবর, গরিবদের জন্য যে সব প্রকল্প চলছে, তার সুবিধা শেষ সারির মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দিকে নজর দেওয়া হবে বাজেটে। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনা, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হবে।
অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের বক্তব্য, কেন্দ্র কোনও ভাবেই আর্থিক বৃদ্ধির হার এক লাফে অনেকখানি বাড়ানোর চেষ্টা করতে চাইছে না। সেই হার ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে থাকলেই সরকার খুশি। বৃদ্ধির হার আরও বাড়াতে গিয়ে মূল্যবৃদ্ধি বা রাজকোষ ঘাটতি নাগালের বাইরে চলে যাক, তা মোদী সরকার চাইছে না। সে কথা মাথায় রেখেই বাজেট তৈরি হচ্ছে।
কোভিডের সময় অর্থনীতির দুরবস্থায় মোদী সরকার সাধারণ মানুষের হাতে নগদ অর্থসাহায্য তুলে দেওয়ার বদলে ব্যবসা, রুটিরুজি চালু রাখতে ঋণের জোগানের দিকে নজর দিয়েছিল। তার পরে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পরিকাঠামোয় বিপুল খরচের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এ বারের বাজেটেও পরিকাঠামো তৈরি-সহ মূলধনী খাতে ১১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করা হবে। বেসরকারি ক্ষেত্রের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে উৎপাদন নির্ভর ভাতা বা প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভের (পিএলআই) দিকে নজর দেওয়া হবে। সঙ্গে চলবে ব্যবসা ও লগ্নির পরিবেশ সহজ করার জন্য সংস্কারের কাজ।
লোকসভা ভোটে মোদী জমানায় বেকারত্বের হার বিরোধীদের অন্যতম প্রধান অস্ত্র ছিল। অর্থ মন্ত্রকের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘পরিকাঠামোয় বিপুল অর্থ ঢাললে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। গ্রামে বাড়ি, রাস্তা তৈরির কাজে টাকা ঢাললেও কাজের সুযোগ বাড়বে। তার সঙ্গে সরকার বেসরকারি ক্ষেত্রকেও উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহ দিচ্ছে। চাকরির সুযোগ তৈরি হবে সেখানেও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy