রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কার্ড ও ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং মিলিয়ে ভারতে ৬৫,৮৯৩টি প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল। প্রতীকী ছবি।
দেশের ব্যাঙ্কিং প্রযুক্তি ও গ্রাহক সুরক্ষার ভিত ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে বলে দাবি করে আসছে শিল্প ও সরকার। কিন্তু অভিযোগ উঠছে, উন্নততর প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই গ্রাহকদের ফাঁদে ফেলছে প্রতারকেরা। প্রতারণার আর্থিক অঙ্কও দিন দিন বাড়ছে। এর উল্লেখযোগ্য অংশ নিরাপত্তারক্ষীহীন এটিএমে প্রতারণা। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কার্ড ও ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং মিলিয়ে ভারতে ৬৫,৮৯৩টি প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল। যার মোট আর্থিক অঙ্ক ছিল ২৫৮.৬১ কোটি টাকা।
সম্প্রতি দিল্লিতে বেসরকারি ক্ষেত্রের এক পেশাদারের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীহীন এক এটিএম থেকে টাকা তোলার সময়ে তাঁরা ডেবিট কার্ড আটকে যায়। সাহায্য করতে এগিয়ে আসে দুই ব্যক্তি। অভিযোগকারীর বক্তব্য, তিনি কার্ড ফেরত পাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে মেসেজ পেতে থাকেন যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। তিনি খেয়াল করেন, কথার ফাঁকে কার্ডটিই বদলে দেওয়া হয়েছে। কার্ড অচল করার জন্য ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা নম্বরে ফোন করেছিলেন তিনি। কিন্তু কার্ড অচল হওয়ার আগেই ফাঁকা হয়ে যায় অ্যাকাউন্ট। অভিযোগ, নথি এবং গ্রাহক পরিষেবার ‘কল ডিটেল’ দিয়ে ব্যাঙ্ক এবং আরবিআই ওম্বুডসমানের কাছে অভিযোগ জানিয়েও ফল হয়নি। সে দিন পূর্ব দিল্লিতে এক মহিলারও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তিনি জানান, তাঁর কার্ড ব্যবহার করে ১ লক্ষ টাকার বাজার করেছে প্রতারকেরা।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ দায়ের করে খুব কম সময়েই কাজ হয়। হাজার অভিযোগের ফাইলের নীচে চাপা পড়ে থাকে ‘কম গুরুত্বের’ অভিযোগগুলি। ব্যাঙ্কের পরিষেবা নম্বরে ফোন করার অভিজ্ঞতাও তাঁদের মোটেই মসৃণ নয়। ব্যাঙ্কের এ ব্যাপারে আরও তৎপর হওয়া উচিত। দাবি, এই ধরনের সমস্যায় পড়লে কোন নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে সে ব্যাপারে ইংরেজি, হিন্দি ও স্থানীয় ভাষায় নোটিস থাকুক সমস্ত এটিএমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy