—প্রতীকী ছবি।
জীবনের ৩০ থেকে ৪০ বছর অফিসে কাজ করে যেতে হবে, এমনটা ভাবলেই যেন গায়ে জ্বর আসে আধুনিক প্রজন্মের। একটানা অফিস না করে মাঝেমাঝে কর্মক্ষেত্র থেকে অবসর নিতে চান তাঁরা। তাতে মাসিক উপার্জন বন্ধ থাকলেও পরোয়া নেই। সেই অনুযায়ী আগে থেকে সঞ্চয় করে রাখতে হবে। কিন্তু অবসর চাই-ই চাই। সেই সূত্র মেনে কয়েক মাস অথবা কয়েক বছরের জন্য অবসর নেয় ‘জেনারেশন জ়ি’। অবসর নিয়ে ইচ্ছামতো সময় কাটায় তারা।
গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, তারা হয় তো দূরে কোথাও ঘুরতে যায় অথবা শখপূরণের জন্য কোনও নতুন বিষয় শেখে। সাধারণত এই প্রজন্মের মধ্যেই এই স্বভাবটি লক্ষ করা যায়। কাজের ফাঁকে অল্প সময়ের জন্য অবসর নেওয়ার একটি বিশেষ নামও দেওয়া হয়েছে— ‘মাইক্রো রিটায়ারমেন্ট’, আবার কখনও ‘মিনি রিটায়ারমেন্ট’ হিসাবেও উল্লেখ করা হচ্ছে একে।
সাধারণত, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত যাঁদের জন্ম তাঁদের ‘জেনারেশন জ়ি’ প্রজন্মের অন্তর্গত বলা হয়। কোভিড অতিমারি, হাইব্রিড মডেল (বাড়ি এবং অফিস দু’জায়গা থেকে মিলিয়ে-মিশিয়ে কাজ করা) এমনকি ওয়ার্ক ফ্রম হোম (সরাসরি বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করা)— এই সমস্ত কারণের জন্য নাকি তরুণ প্রজন্ম একটানা অফিসে কাজ করতে পারে না।
মাঝেমধ্যে কাজের মাঝে বিরতির প্রয়োজন হয় তাঁদের। দু’তিন দিনের ছুটি নয়। একেবারে চাকরিই ছেড়ে দেন তাঁরা। কয়েক মাস এমনকি দু’এক বছর অবসর জীবন কাটিয়ে আবার নতুন চাকরি খুঁজতে শুরু করেন তাঁরা।
এই প্রজন্মের দাবি, অফিসে একটানা কাজ করা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অফিস থেকে বিরতি না নিলে পেশাগত জীবনে উৎপাদন ক্ষমতাও কমতে শুরু করে। মানসিক অবসাদ দেখা দেয় কর্মীদের একাংশের।
চোখের সমস্যার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রার মতো নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন কর্মীরা। অন্য দিকে যাঁরা ‘মাইক্রো রিটায়ারমেন্ট’-এর পথ অনুসরণ করছেন তাঁরা ‘ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্স’ করে বেশ ভালই জীবন কাটাচ্ছেন বলে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy