দর্শক: দোকানে টিভিতে চোখ। কলকাতায়। পিটিআই
রবিবার ‘জনতা কার্ফু’। আবেদন প্রধানমন্ত্রীর। সেই সঙ্গে মেনে নেওয়া, করোনাভাইরাসের জেরে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে দেশের অর্থনীতি। সবচেয়ে ধাক্কা খাবেন মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত।
এরই মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার কয়েকটি পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে করেছেন একগুচ্ছ আবেদন। বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, এ দিন নির্দিষ্ট কোনও পথনির্দেশিকা দেখাতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। দেননি সাধারণ মানুষকে কোনও সাহায্যের আশ্বাসও।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে ‘কোভিড-১৯ ইকনমিক রেসপন্স টাস্ক ফোর্স’ নামে একটি কমিটি তৈরি হবে। ওই কমিটি বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলে করোনার চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় সিদ্ধান্ত নেবে। রাজ্যগুলিকে তাঁর আর্জি, বেসরকারি সংস্থাগুলি যাতে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করায়, তার নির্দেশ দিক রাজ্য। আর শিল্প, ব্যবসা, ধনী সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন, তারা যাঁদের থেকে পরিষেবা নেয়, সেই নিম্ন আয়ের মানুষের আর্থিক প্রয়োজনের দিকে খেয়াল রাখতে।
এই প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা রাজীব গৌড়ার বক্তব্য, ‘‘করোনার ফলে দিনমজুর, হোটেল শিল্পে কাজ করা মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। সরকার অন্যকে অনুরোধ না জানিয়ে নিজে গরিব মানুষের জনধন অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাক।’’ সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘‘দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা নেই। তাদের জন্য তিনি কী করলেন প্রধানমন্ত্রী? সরকার অন্তত গুদামে মজুত অতিরিক্ত খাদ্যশস্য তাদের হাতে তুলে দিতে পারে।’’
অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ছোট শিল্পের জন্য সহজে ঋণ শোধ করার ব্যবস্থা ও কিছু কর ছাড় ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র। বিমান শিল্পকে উদ্ধার করতে ১২,০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হতে পারে। আপাতত স্থগিত রাখা হতে পারে সমস্ত রকমের কর আদায়। বিমান শিল্পের জন্যও ঋণ শোধ করার সময়সীমা বাড়ানো, দেরিতে কর জমা দেওয়ার মতো সুরাহা ঘোষণা করা হতে পারে। দেরিতে কর জমা করলেও তাদের থেকে সুদ নেওয়া হবে বলে ভাবনাচিন্তা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy