প্রতীকী ছবি।
মুকেশ অম্বানী বলেছিলেন, অ্যারামকোর সঙ্গে তেল চুক্তিতে দেরি হচ্ছে তেলের দাম ও করোনাজনিত নানা অনিশ্চয়তা। তবে চুক্তি বাতিল হয়েছে যেমন বলেননি, তেমনই তা কবে হবে সেটা নিয়েও চুপ থেকেছেন। ফলে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ় (আরআইএল) ও সৌদি অ্যারামকোর জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে দানা বাঁধছে জল্পনা। একাংশ সন্দিহান, আদৌ চুক্তিটা হবে তো! না কি হবে না বুঝেই, জানপ্রাণ দিয়ে ডিজিটাল ব্যবসায় ঝাঁপাচ্ছেন মুকেশ? তাদের মতে, এ নিয়ে অনিশ্চয়তার জন্যই বুঝি মুকেশ জিয়োর অংশীদারি বিক্রির পথে হেঁটেছেন! আলাদা সংস্থা গড়ে সরিয়ে দিচ্ছেন তেল ব্যবসাকে! সম্প্রতি যে ব্যবসায় তাঁর লোকসানও হয়েছে বিপুল।
আরআইএল-কে ঋণমুক্ত করতে গত বছর কর্ণধার মুকেশ তাঁর তেল ও রাসায়নিক ব্যবসার ২০% অ্যারামকোকে বেচার কথা জানান। ওই ব্যবসার মোট মূল্য ৭৫০০ কোটি ডলারের ভিত্তিতে যার লেনদেনের অঙ্ক ধরা হয়েছিল ১৫০০ কোটি। গত মার্চের মধ্যে তা হওয়ার কথা থাকলেও, বুধবার মুকেশ জানান, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, তেলের দাম নামতেই অ্যারামকো পুরো আর্থিক বিষয়টির পুনর্মূল্যায়ন চায়। সংস্থার মূল্যায়ন ২০% কমাতেও চাপ দেয়। ফলে থমকে যায় চুক্তি প্রক্রিয়া। গোড়া থেকেই অবশ্য অ্যারামকো লেনদেনের অঙ্ক নিয়ে খুশি ছিল না। সংশয় ছিল জিয়ো প্ল্যাটফর্মে লগ্নির জন্য তেল ও রাসায়নিক ব্যবসার কাঁধে বাড়তি ধারের বোঝা চাপানো নিয়েও। অন্য কিছু সূত্রের দাবি, এখনই ওই গাঁটছড়ার পুনর্মূল্যায়ণে নারাজ মুকেশ। বরং অপেক্ষা করতে চান। সেই সঙ্গে ঋণমুক্ত আরআইএলকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চান ডিজি়টাল ব্যবসায়। কেউই অবশ্য এ নিয়ে মুখ খোলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy