দেশের ৫০ শতাংশের উপর সম্পদ আয়ের সিঁড়িতে প্রথম ১০ শতাংশের কুক্ষিগত। আর ৫০ শতাংশের হাতে রয়েছে দেশের ১০ শতাংশের সম্পদের অধিকার। ন্যাশনাল সাম্পেল সার্ভের সদ্য প্রকাশিত ‘অল ইন্ডিয়া ডেট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সার্ভে, ২০১৯’ অনুযায়ী গ্রামের তুলনায় শহরে এই বৈষম্য কিছুটা বেশিই।
কিন্তু আগের তুলনায় এই বৈষম্য কোথায় দাঁড়িয়েছে সেই তুলনা প্রকাশ করা হয়নি এই রিপোর্টে। তবে ২০১২ সালের সঙ্গে তুলনা করলে আপাতদৃষ্টিতে দেশের আর্থিক বৈষম্য নিয়ে চিন্তার কারণ রয়েছে।
কারণ, সম্পদের অধিকারের এই বৈষম্যের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ঋণও বেড়েছে। গ্রামের ক্ষেত্রে অবশ্য এই বৃদ্ধির হার শহরকে ছাপিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। সমীক্ষা অনুযায়ী, গ্রামের মানুষের ঋণের বোঝা বেড়েছে ৮৪ শতাংশ। সেখানে শহুরে মানুষের ঋণের বোঝা বাড়ার হার ৪২ শতাংশ গ্রামের তুলনায় যা অর্ধেক।
এই বোঝা দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ, শুধু ঋণের পরিমাণই বাড়েনি। সম্পদের অনুপাতে ঋণের বোঝাও অনেকটাই বেড়েছে। গ্রামে পরিবার পিছু এই অনুপাত ২০১২ সালে ছিল ৩.২। ২০১৮ সালে যা দাঁড়িয়েছে ৩.৮-এ। শহরের ক্ষেত্রে এই অনুপাত একই সময়ে ৩.৭ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৪-এ। অর্থাৎ, ঋণের পাশাপাশি আনুপাতিক ভাবে সাধারণ নাগরিকের সম্পদের পরিমাণ পা মিলিয়ে বাড়েনি। এই অঙ্ক বৈষম্যের চরিত্রে এক অন্য মাত্রা যোগ করতে পারে।
তবে এই সমীক্ষায় আশার আলোও রয়েছে। ঋণের বোঝা বাড়লেও গ্রামে ঋণের জন্য কুসীদজীবীর উপর নির্ভরশীলতা কমছে। এই সমীক্ষা অনুযায়ী ২০১২ সালে গ্রামের মানুষের ঋণের ৪৪ শতাংশই আসত কুসীদজীবীর কাছ থেকে। এখন তা ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই সাধারণ মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের উপর নির্ভরতা বাড়ছে বলে সমীক্ষা জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy