—প্রতীকী ছবি।
কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপে থাকা কর্মীদের ‘ছাঁটাই’ সংক্রান্ত ইমেল প্রকাশ্যে আসার পর সমালোচনার মুখে পড়তেই এ বার মুখ খুলল নয়ডার সংস্থা ‘ইয়েস ম্যাডাম’। বাড়ি বাড়ি গিয়ে রূপটান সংক্রান্ত পরিষেবা দেওয়া ওই স্টার্ট-আপ সংস্থা পুরো বিষয়টি নিয়ে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছে। জানিয়েছে, সংস্থার তরফে কোনও কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়নি এবং ভাইরাল ইমেলটি তাদের পরিকল্পিত প্রচারের অংশ।
বিতর্কের সূত্রপাত সোমবার। কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ আছে কি না জানতে চেয়ে সমীক্ষা করছিল সংস্থা। ‘হ্যাঁ’ লিখেছিলেন শতাধিক কর্মী। সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই বেছে বেছে সেই সব কর্মীকে ছাঁটাই করে সংস্থা। এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে দেশ জুড়ে। উত্তাপ ছড়ায় সমাজমাধ্যমে। কর্মক্ষেত্রের নিয়ম এবং নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন নেটাগরিকেরা। স্টার্ট-আপ ওই সংস্থার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা নিয়ে সংস্থার তরফে একটি ইমেল করা হয়েছিল ওই কর্মীদের। সেই ইমেলের একটি ছবি প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার পারদ চড়ে। তবে বিতর্কের মুখে পড়ে এ বার তিন পাতার বিবৃতি জারি করল ওই সংস্থা। জানাল, এ সব শুধুই প্রচারের কৌশল।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ ভাইরাল ইমেলের মাধ্যমে মানুষকে ‘কষ্ট’ দেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে স্টার্ট-আপ সংস্থাটি। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ইয়েস ম্যাডামের তরফে কোনও কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়নি। সাম্প্রতিক সমাজমাধ্যমের পোস্ট অনুযায়ী মানসিক চাপে থাকা কর্মীদের আমরা বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর জন্য যদি কেউ দুঃখ পেয়ে থাকেন তা হলে আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। তবে আমরা পরিষ্কার করছি যে, সংস্থার তরফে কখনওই এমন অমানবিক পদক্ষেপ করা হবে না।’’
সংস্থার বিবৃতিতে এ-ও বলা হয়েছে, ‘‘যাঁরা বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং দৃঢ় মতামত দিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। ওঁরা খেয়াল রাখেন বলেই রাগ দেখিয়েছেন। গ্রাহকদের খেয়াল রাখাই আমাদের ব্যবসা।’’
‘ইয়েস ম্যাডাম’-এর দাবি, মানসিক চাপের জন্য কোনও কর্মীকেই ছাঁটাই করা হয়নি। ওই কর্মীরা যাতে চাপমুক্ত হয়ে নতুন উদ্যমে কাজ করতে পারেন, তার জন্য তাঁদের বিরতি দেওয়া হয়েছে বলেও স্পষ্ট করেছে সংস্থা। একই সঙ্গে কর্মীদের জন্য একটি নতুন ‘মানসিক চাপ-মুক্তি’ নীতি বাস্তবায়নের ঘোষণাও সংস্থার তরফে করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy