ফাইল চিত্র।
সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা টাকার অঙ্ক বাড়েনি বলে রাজ্যসভায় দাবি করলেন অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। মঙ্গলবার তিনি জানান, ২০১৬ সালের তুলনায় গত বছর তা ৩৪.৫% কমেছে। আর ২০১৩-র তুলনায় কমেছে ৮০%। তাঁর দাবি, কালো টাকার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের লড়াইয়ে এই সুফল মিলেছে।
তবে অনেকেরই প্রশ্ন, সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ৫০% বেড়ে ৭,০০০ কোটি টাকায় পৌঁছনোর তথ্য যখন সামনে এসেছিল, তখন কেন্দ্র বলে এর মধ্যে সব টাকাই কালো নয়। তা হলে জমা এখন কমে থাকলেও তার প্রচারে তারা কেন এত সরব হচ্ছে?
অর্থ মন্ত্রক সূত্রে খবর, সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের তথ্য সামনে আসার পরেই সুইৎজ়ারল্যান্ড সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ভারতে সুইস রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেয়াস বায়ুম অর্থমন্ত্রীকে চিঠিতে জানান, সেখানকার ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা কমেছে। গয়ালের যুক্তি, সুইস শীর্ষ ব্যাঙ্কের তথ্যের মধ্যে সঞ্চয় ছাড়াও অন্যান্য আর্থিক দায়, ভারতে সুইস ব্যাঙ্কের ব্যবসা ও আন্তঃব্যাঙ্ক লেনদেন ধরা হয়েছে। তাঁর দাবি, আসল তথ্য পেতে শীর্ষ ব্যাঙ্কের সংগঠন ব্যাঙ্ক অব ইন্টারন্যাশনাল সেটলমেন্টসের তথ্য দেখতে হবে। তা অনুযায়ী, সেখােন গত অক্টোবর-ডিসেম্বরে ভারতীয় নাগরিক, কর্পোরেটের জমা ৪৪% কমেছে।
কংগ্রেসের দাবি, গত লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীর প্রতিশ্রুতি ছিল, ক্ষমতায় এসে বিদেশে জমা কালো টাকা ফিরিয়ে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ করে দেওয়া হবে। আজ তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায় প্রশ্ন, কবে টাকা মিলবে? কত জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা শুরু হয়েছে? উত্তর না দিলেও গয়ালের দাবি, চার অর্থবর্ষে সুইস কর্তৃপক্ষের থেকে ৪,৮৩৩টি মামলায় তথ্য চাওয়া হয়েছে। এর পরেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে নিশানা করে মন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘ওঁর মিথ্যের জন্য দেশের সম্মানহানি হচ্ছে। তথ্য না জেনেই কথা বলার অভ্যাস। অনাস্থা প্রস্তাবের সময়েও তাই করেছেন।’’ কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, রাহুল উচিত প্রশ্ন করেছেন বলেই মোদী সরকারের সমস্যা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy