প্রতীকী ছবি।
প্রয়োজনে মেয়াদি ঋণে মাসিক কিস্তি স্থগিতের (মোরাটোরিয়াম) মেয়াদ দু’বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। তবে ঢালাও ভাবে নয়। করোনায় সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা ব্যক্তির কতটা ক্ষতি হয়েছে তার নিরিখে। যা যাচাইয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে এ কথা জানালেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। দাবি করলেন, এমন প্রকল্প তৈরিও করে ফেলেছে আরবিআই। তবে হলফনামায় তাঁর দাবি, স্থগিত কিস্তিতে সুদ মকুব হলে আর্থিক অনুশাসন তো ভাঙবেই, অবিচার করা হবে যাঁরা কষ্ট করে সময় মতো সুদ-সহ ধার মিটিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও। ওই টাকায় সুদের উপর সুদ মকুব করা হলেও আর্থিক অনুশাসন লঙ্ঘিত হওয়ারই দোহাই দিয়েছেন তিনি।
ছ’মাস মোরাটোরিয়ামের মেয়াদ ৩১ অগস্ট ফুরিয়েছে। তবে স্থগিত ইএমআইয়ে সুদ মকুব ও সুদের উপর সুদ মকুব নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। তারই শুনানি ছিল এ দিন।
আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বলেছিল, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পিছনে লুকোবেন না। ছ’মাস ইএমআই স্থগিত রাখতে গিয়ে ঋণের সুদে বাড়তি সুদ চাপছে কি না, তা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করুন। কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল, আরবিআই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য আলাদা ভাবে বিবেচনা করা হবে। কিন্তু বিচারপতিরা বলেছিলেন, কেন্দ্র লকডাউন জারি করাতেই মানুষের রুটি-রুজিতে ধাক্কা লেগেছে। ফলে ঋণ শোধে সমস্যা হয়েছে। তাই সরকার ইএমআই স্থগিতের কথা বলেছে। কিন্তু তাতে বাড়তি সুদ চাপছে বলে অভিযোগ।
তবে সুদ বা সুদের উপর সুদ মকুবে যে কেন্দ্র নারাজ, তা স্পষ্ট করে মেহতা বলেন, মোরাটোরিয়ামের সুযোগ নিলে তাতে কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। আবার তার জন্য যে খরচ, সেটাও ঋণগ্রহীতাকে বহন করতে হয়। সেটা জেনেই একাংশ সুবিধা নিয়েছেন। বুধবার ফের শুনানি হওয়ার কথা।
এ দিকে, মোরাটোরিয়ামের সময়ের বকেয়া আদায়ে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলিকে নির্দিষ্ট নীতি মানার পরামর্শ দিল তাদের সংগঠন এমফিন।
তার সিইও অলোক মিশ্র বলেন, “অতি জরুরি অবস্থা চলছে। ঋণ আদায়ের বাধ্যবাধকতা থাকলেও, তা মানবিকতার সঙ্গে দেখা জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy