আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথায় মনে হয়েছিল, শুল্ক যুদ্ধের সমাধানের প্রশ্নে নরম হচ্ছেন তিনি। দাবি করেছিলেন, চিনা সরকারের আধিকারিকেরা তাঁর প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সেই ইঙ্গিতের উপরে ভিত্তি করে গতকাল সারা বিশ্বের শেয়ার বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। কিন্তু আজ বেজিং স্পষ্ট জানিয়ে দিল, আমেরিকার সঙ্গে এখনও পর্যন্ত তাদের কোনও কথা হয়নি। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, শুল্ক সমাধানের আশায় প্রাণ ফিরে পাওয়া বাজার এ বার কোন পথে পা বাড়ায়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। লগ্নিকারীদের স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সময় এখনও আসেনি।
আজ চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন বলেন, ‘‘চিন এবং আমেরিকার মধ্যে শুল্ক সংক্রান্ত সমাধান নিয়ে কোনও কথা হয়নি।... এই শুল্ক যুদ্ধ আমেরিকা শুরু করেছে। এটা যদি অবশ্যম্ভাবী হয়, তা হলে আমরা লড়ব। আমেরিকা কথা বলতে চাইলে আমাদের দরজা খোলা। সেই আলোচনা হতে হবে সাম্য, সম্মান এবং পারস্পরিক লাভের ভিত্তিতে। চিনের বাণিজ্য মন্ত্রকেরও বক্তব্য, দুই দেশের আলোচনা সংক্রান্ত খবরের কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।
ঘটনাচক্রে আজই বেসেন্ট দাবি করেছেন, ভারতের সঙ্গে প্রথম বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে তাঁদের। ভারতের শুল্ক খুব উঁচু নয়। অন্যান্য বাধাও কম। সরকারি ভর্তুকিও বেশি নয়। ফলে তাদের সঙ্গে চুক্তি করা অপেক্ষাকৃত সহজ।
এ দিকে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক, কলোরাডো, অ্যারিজ়োনা, ইলিনয়-সহ আমেরিকার অন্তত ১২টি প্রদেশ। তাদের বক্তব্য, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ‘বেআইনি’। যা অর্থ ব্যবস্থাকে সমস্যায় ফেলেছে। ফলে ঘরে-বাইরে চাপ বাড়ছে ট্রাম্পের উপরে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)