সব ফোনেই সোনা থাকে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে
সব মোবাইল ফোনেই সোনা থাকে। শুধু সোনাই নয়, রুপো, তামাও লাগে মোবাইল ফোন তৈরির ক্ষেত্রে। সোনা বিদ্যুতের সুপরিবাহী। সেই সঙ্গে এর ক্ষয় হয় না, মরচে ধরে না। এই কারণেই মোবাইল ফোনের ইন্টিগ্রেটেড সারকিট (আইসি) বোর্ডের ছোট্ট কানেক্টারগুলিতে সোনা ব্যবহৃত হয়। এটা ঠিক যে খুবই সামান্য সোনা থাকে। কিন্তু অনেক বাতিল ফোন থেকে অনেক সামান্য মিলে বড় পরিমাণে সোনা সংগ্রহ হয়। আর তা দিতে চলে কোটি কোটি টাকার কারবার।
সাধারণ মোবাইল ফোন থেকে স্মার্টফোন বা আইফোন সব তৈরিতেই লাগে সোনা। তার পরিমাণ আলাদা আলাদা। হিসেব বলছে, এক একটি ফোনে ৩৪ থেকে ৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত সোনা থাকে। একটি ফোনের হিসেবে সোনার পরমাণ সামান্যই। কিন্তু এখন যে হারে বর্জ্য মোবাইলের সংখ্যা বাড়ছে তাতে সংগৃহীত সোনার পরিমাণ অনেক। আবর্জনা থেকে সোনার মতো দামী ধাতু বের করার ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে। সেখানে টন টন আবর্জনা থেকে এক গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। সেখানে একটি হিসেব বলছে, ৪১টি মোবাইল ফোন থেকেই ১ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। ভারতীয় মুদ্রায় এখন যার গড় মুল্য সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। ওই হিসেবেই দেখা গিয়েছে, বিশ্বে ফি বছর বাতিল মোবাইল ফোন থেকে চার হাজার কোটি টাকার সোনা পাওয়া যায়।
মোবাইল ফোনে সোনা ব্যবহারের প্রধান কারণ এই ধাতু ভাল বিদ্যুৎ পরিবাহী। সোনা ছাড়া আর দুই ধাতু বিদ্যুতের সুপরিবাহী। রুপো এবং তামা। ফোনে সোনার কানেকটরগুলি ডিজিটাল ডাটা দ্রুত এবং যথাযথ স্থানান্তর করার জন্যও ব্যবহৃত হয়। মোবাইল ফোনের মতো, সোনা কম্পিউটার ও ল্যাপটপের আইসিগুলিতেও ব্যবহৃত হয়। আর এই ভাবেই বাতিল মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি দিয়ে চলে বড় আর্থিক অঙ্কের কারবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy