মঙ্গলবার দিল্লি গিয়ে সাংসদ পদে ইস্তফা দেবেন। ফাইল চিত্র।
১৯ অক্টোবর মঙ্গলবার, সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন বাবুল সুপ্রিয়। লোকসভা সচিবালয় সূত্রে খবর, বাবুলকে সকাল ১১টায় সময় দিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা। এর আগে একাধিক বার চিঠি লিখে স্পিকারের সময় চেয়েছিলেন বাবুল। কিন্তু তখন তাঁকে স্পিকার সময় দেননি। রবিবার লোকসভা সচিবালয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকালে বাবুলকে সময় দেওয়া হয়েছে।
সেই মতো বাবুল মঙ্গলবার দিল্লি গিয়ে সাংসদ পদে ইস্তফা দেবেন। বাবুল আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি যাদের টিকিটে নির্বাচিত, সেই দল ছেড়ে অন্য দলে গেলে পুরনো দলের সাংসদ পদ আঁকড়ে ধরে রাখা ‘অনৈতিক’ কাজ হবে। যদিও বাংলায় তেমন কিছু দৃষ্টান্ত রয়েছে। এখন দেখার যে, সাংসদ পদ থেকে বাবুল ইস্তফা দিলে কবে আসানসোলে উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়। এখনও প্রায় ৩ বছর লোকসভা ভোট হতে বাকি। এটাও দেখার যে, সেখানে বিজেপি নতুন কাকে প্রার্থী হিসেবে তুলে আনে। তৃণমূলই বা কাকে সেই পদে দাঁড় করায়। একই সঙ্গে নজরে থাকবে কংগ্রেস ও বাম দলগুলি ওই উপনির্বাচনে প্রার্থী দেয় কি না।
বিমানে রামদেব-সাক্ষাৎ এবং তার পর বিজেপি-র টিকিটে আসানসোল থেকে ভোটে লড়া। ২০১৪ সালে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রথম বার ভোটে লড়ার সময় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী আসানসোলের জনসভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘মুঝে বাবুল চাহিয়ে।’ আসানসোলবাসী বাবুলকে দিল্লি পাঠাতে দ্বিধা করেননি। প্রথম বার ভোটে জিতে মোদীর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছিলেন বাবুল। তার পর থেকে একটানা মন্ত্রী। ২০১৯ লোকসভায় ব্যবধান বাড়িয়ে আবার জয়ী হন। এ বারও ঠাঁই হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। কিন্তু সম্প্রতি মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে বাদ পড়েন বাবুল। তার পর রাতারাতি রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা এবং কিছু দিনের মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান। বাবুলের নাতিদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন যেন ‘রোলার কোস্টার’ যাত্রা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy