জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।
আদানি কাণ্ডে সেবি কর্ণধার মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামী ধবলের নাম জড়িয়েছে। আমেরিকার শেয়ার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে দাবি, যে বিদেশি ও অখ্যাত লগ্নিকারী সংস্থার মাধ্যমে আদানি গোষ্ঠীর নথিভুক্ত সংস্থাগুলিতে পুঁজি ঢেলে তাদের শেয়ারের দাম কৃত্রিম ভাবে বাড়ানো হয়েছিল, তাতে বুচ দম্পতির লগ্নি ছিল। আজ সেই বিষয়টি নিয়ে আক্রমণ তীব্রতর করল কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের বক্তব্য, বাজার নিয়ন্ত্রকের ব্যর্থতা এবং স্বার্থের সংঘাতের ঘটনা যদি অল্প সময়ের জন্যও ঘটে থাকে, তা হলেও তার বিরূপ প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। আস্থা নষ্ট হয় লগ্নিকারীদের। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও কটাক্ষ করেছেন রমেশ।
আজ এক্স-এ কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, ভারতের মূলধনী বাজারের নিয়ন্ত্রণ বিধি শক্তপোক্ত বলেই বিশ্ব বাজার মনে করে। সে কারণে এ দেশের বাজারের মূল্যায়ন ভাল। এনএসই-র তথ্য অনুযায়ী, প্যানের ভিত্তিতে লগ্নিকারীর সংস্থা ১০ কোটি পার করেছে। তাঁদের বড় অংশ যুব সম্প্রদায়ের। তিনি লিখেছেন, ‘‘কিন্তু যদি দেখা যায় সেবি চেয়ারপার্সনেরই স্বার্থের সংঘাত রয়েছে, সেটাও আবার আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের তদন্তের সঙ্গে জড়িত, তবে সেখানে কোটি কোটি লগ্নিকারীর আস্থার বিষয়টি জড়িয়ে যায়। নিয়ন্ত্রকের ব্যর্থতা এবং স্বার্থের সংঘাতের ঘটনা অল্প সময়ের জন্য ঘটলেও লগ্নিকারীদের ভাবাবেগ এবং আস্থার উপরে তার বিরূপ প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।’’
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এবং নাম না করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে উদাহরণ হিসেবে তুলে এনেছেন রমেশ। তিনি বলেন, ‘‘গত ১৩ মে স্বঘোষিত চাণক্য লগ্নিকারীদের পরামর্শ দিয়েছিলেন, ৪ জুনের আগে শেয়ার কিনুন। তার দাম বাড়বে। কয়েক দিন পরে অজৈবিক প্রধানমন্ত্রী তার পুনরাবৃত্তি করেন। জানান, ৪ জুন শেয়ার বাজার রেকর্ড ভেঙে দেবে।’’ উল্লেখ্য, সে দিন বাজার বিপুল পড়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy