পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। এ বার তার সরাসরি প্রভাব দেখা গেল শেয়ার বাজারে। পর পর দু’দিন নিম্নমুখী সেনসেক্স ও নিফটি। ফলে শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছে লগ্নিকারীদের। তবে এই ক্ষতিকে সাময়িক বলে ব্যাখ্যা করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। উল্লেখ্য, মারাত্মক ভাবে নিম্নমুখী রয়েছে পাকিস্তানের শেয়ার বাজারও।
এ দিন ৫৮৮.৯০ পয়েন্ট নেমে বন্ধ হয় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই)। দিনশেষে ৭৯,২১২.৫৩ পয়েন্টে পৌঁছোয় সেনসেক্স। চলতি সপ্তাহেই এই শেয়ার সূচক ৮০ হাজারের গণ্ডি ছুঁয়েছিল। সপ্তাহের শেষ লেনদেনের দিনে সেনসেক্সে ০.৭৪ শতাংশের পতন দেখা গিয়েছে।
অন্য দিকে ২৪,০৩৯.৩৫ পয়েন্টে পৌঁছে থেমেছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) সূচক। নিফটি ৫০-এ ২০৭.৩৫ পয়েন্টের পতন দেখা গিয়েছে। শতাংশের নিরিখে সেটা ০.৮৬। বিএসইতে ছোট ও মাঝারি পুঁজির সংস্থাগুলির সূচক নেমেছে ২.৪৪ এবং ২.৫৬ শতাংশ।
সূচক নিম্নমুখী হওয়ায় এ দিন বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলির বাজার মূলধনের অঙ্ক ৪৩০ লক্ষ কোটি থেকে কমে ৪২১ লক্ষ কোটিতে চলে এসেছে। এ দিন এই বাজারের লগ্নিকারীদের মোট লোকসানের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ন’লক্ষ কোটি টাকা।
শুধু তা-ই নয়, তথ্যপ্রযুক্তি বাদ দিলে দিনভর বাকি সমস্ত সংস্থাই ছিল রেড জ়োনে। ধাতু সংকর, রাষ্ট্রায়ত্ত, টেলিকম, বিদ্যুৎ, তেল ও গ্যাস এবং রিয়্যাল এস্টেট সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন শতাংশ পর্যন্ত কমেছে স্টকের দর।
শুক্রবার, নিফটিতে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, আদানি এন্টারপ্রাইজ়, শ্রীরাম ফিন্যান্স, আদানি পোর্টস এবং ট্রেন্টের শেয়ারে লগ্নিকারীদের সর্বাধিক লোকসান হয়েছে। অন্য দিকে এসবিআই লাইফ, ইনফোসিস, টিসিএস, টেক মাহিন্দ্রা এবং ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্কের স্টকে লগ্নিকারীরা লাভের মুখ দেখেছেন।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকিসাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)