Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বকেয়া মেটানো শুরু হিন্দমোটরে

শনিবার অন্তত ১২৫ জন বকেয়া বুঝে নেন। আগে কর্তৃপক্ষের তরফে অবসর ও স্বেচ্ছাবসর নেওয়া কর্মীদের বকেয়ার চেক বিলির নোটিস দেওয়া হয়। তবে যাঁরা এখনও কারখানায় খাতায়-কলমে কর্মরত, সেই প্রায় ৬০০ জনের বকেয়া এখনও অধরা বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের।

বণ্টন: চেক বিলি চলছে কারখানায়। শনিবার। ছবি: দীপঙ্কর দে

বণ্টন: চেক বিলি চলছে কারখানায়। শনিবার। ছবি: দীপঙ্কর দে

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
হিন্দমোটর শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৩৭
Share: Save:

ঝাঁপ বন্ধের প্রায় চার বছর পরে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের বকেয়া মেটানো শুরু করলেন হিন্দুস্তান মোটরস কর্তৃপক্ষ। চেক বিলি চলবে এ মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত। সংস্থার বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৪ সালে জারি হওয়া সাসপেনশন অব ওয়ার্কের সিদ্ধান্ত বহালই রয়েছে।

শনিবার অন্তত ১২৫ জন বকেয়া বুঝে নেন। আগে কর্তৃপক্ষের তরফে অবসর ও স্বেচ্ছাবসর নেওয়া কর্মীদের বকেয়ার চেক বিলির নোটিস দেওয়া হয়। তবে যাঁরা এখনও কারখানায় খাতায়-কলমে কর্মরত, সেই প্রায় ৬০০ জনের বকেয়া এখনও অধরা বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের।

অভিযোগ, শ্রমিক সংগঠনগুলি বকেয়া আদায়ে সংগঠিত ভাবে এগোয়নি। শ্রমিকদের দাবি, তাঁদের একাংশই দাবি আদায়ে কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করেন। সাড়া না-পেয়ে লড়াই পৌঁছয় আদালতে। শ্রম দফতর, লোক আদালতের পাশাপাশি কর্মীরা কলকাতা হাইকোর্টেও আর্জি জানান, যাতে নেতৃত্ব দেয় চন্দননগরে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের আইনি পরিষেবা সমিতি। তবে বহু শ্রমিকের অভিযোগ, গড়ে তাঁরা ৩-৬ হাজার টাকা কম পেয়েছেন। তার উপর কারখানার আবাসনে যাঁরা এখনও বাস করছেন, তাঁরা গ্র্যাচুইটি পাননি। কর্তৃপক্ষ সূত্রের দাবি, ‘‘নোটিসে উল্লেখ ছিল, যাঁরা আবাসনে রয়েছেন তাঁদের চাবি-সহ সব কিছু বুঝিয়ে দিতে হবে। যাঁদের বকেয়া মিলছে না, তাঁদের ওই সমস্যা থাকতে পারে।’’

আইনি পরিষেবা সমিতির পক্ষে বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘টাকা অনেকেই কম পেয়েছেন। এখন চেক নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরে বিষয়টি আদালতে জানানো হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE