সুদের হার বা রেপো রেট কমিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। ফলে কমছে বাড়ি ও গাড়ির ঋণ। এই পরিস্থিতিতে কোন নিয়মে গৃহঋণ নিলে মিলবে স্বস্তি? মাসিক কিস্তিতে দিতে হবে কম টাকা? আনন্দবাজার অনলাইনের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
গৃহঋণের সুদের ক্ষেত্রে দু’টি নিয়ম রয়েছে। একটি হল, স্থায়ী সুদ বা ফিক্সড ইন্টারেস্ট। দ্বিতীয়টির নাম, ভাসমান সুদ বা ফ্লোটিং ইন্টারেস্ট। প্রথম নিয়মে মাসিক কিস্তির হার আগে থেকেই অনুমান করতে পারেন গ্রাহক। লম্বা সময়ের জন্য ঋণের ক্ষেত্রে একে আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশ আদর্শ বলে মনে করে থাকেন। তবে স্থায়ী সুদের হারে গৃহঋণ নিলে গ্রাহককে ভাসমান সুদের তুলনায় এক থেকে দেড় শতাংশ বেশি টাকা দিতে হবে। কারণ, আরবিআইয়ের রেপো রেটের সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত নয়।
অন্য দিকে, বাজারের পরিস্থিতির উপরে ভাসমান সুদের হার ওঠানামা করে। ফলে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট কমানোয় এতে কমবে গৃহঋণের কিস্তি। তবে ভাসমান সুদের হারের ক্ষেত্রে একটি অনিশ্চিত ব্যাপার রয়েছে। এতে গৃহঋণের কিস্তির ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। আবার ভাসমান সুদের হারে রয়েছে আগে টাকা দেওয়ার সুবিধা। এতে নেই কোনও জরিমানা। ফলে অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই দ্রুত ঋণ নিষ্পত্তির সুযোগ রয়েছে গ্রাহকের।
আর্থিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হল, ঋণ গ্রহণকারীকে ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা বিচার করে স্থায়ী বা ভাসমান সুদের হারের বিকল্পটি বেছে নিতে হবে। স্থায়ী সুদের ক্ষেত্রে সুদের কিস্তির পরিমাণ স্থিতিশীল হওয়ায় গ্রাহক কত টাকা দিতে হবে, তা আগাম হিসাব করতে পারবেন। ফলে প্রতি মাসে ঋণের কিস্তি দেওয়ার পর হাতে টাকা থাকলে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করতে পারেন তিনি। অপর দিকে ভাসমান সুদের হারে গ্রাহককে কিস্তি বাবদ কম টাকা দিতে হবে। ফলে কম আয়ের ব্যক্তিরা যে এটিকে বেছে নেবেন, তা বলাই বাহুল্য।
চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি রেপো রেট বদল করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ওই দিন থেকে সুদের হারে ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে আরবিআই। ফলে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬.২৫ শতাংশ। এর জেরে ভাসমান সুদের হারে গৃহঋণের ক্ষেত্রেও ২৫ বেসিস পয়েন্ট ছাড় পাবেন গ্রাহকেরা।