বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস থেকে বরখাস্ত হওয়ায় আতান্তরে পড়েছেন শতাধিক শিক্ষানবিশ। চাকরি ফিরে পেতে এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হলেন তাঁরা। এ ব্যাপারে তাঁর দফতরে (পড়ুন প্রাইম মিনিস্টার্স অফিস বা পিএমও) চিঠি পাঠিয়েছেন কাজ হারানো শিক্ষানবিশেরা। চিঠিতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
বরখাস্ত শিক্ষানবিশদের পাঠানো চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। পাশাপাশি, শ্রম মন্ত্রককে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছে কর্নাটকের শ্রম কমিশনারকে। তাঁকে এ ব্যাপারে ইনফোসিসের সঙ্গে কথা বলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির গোড়ায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির মায়সুরু ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মূল্যায়ন করতে একটি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। ইনফোসিসের দাবি, সেখানে অনুত্তীর্ণ হন ৩০০-র বেশি শিক্ষানবিশ। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের ছাঁটাই করে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। এর জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ে নারায়ণ মূর্তি প্রতিষ্ঠিত আইটি জায়ান্টটি।
সূত্রের খবর, বরখাস্ত হওয়া শিক্ষানবিশেরা দু’বছর অপেক্ষা করার পর ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ইনফোসিসে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন। মাত্র চার মাসের মধ্যেই তাঁদের ছাঁটাই করায় সংস্থার মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের সংগঠন এনআইটিইএস এ ব্যাপারে সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর সরকারি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে।
অন্য দিকে বিষয়টিতে মুখ খুলেছে নারায়ণ মূর্তির সংস্থাও। একটি বিবৃতিতে আইটি জায়ান্টটি জানিয়েছে, নিয়োগের সময়ে প্রতিটি শিক্ষানবিশকে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন পরীক্ষার ব্যাপারে বলা হয়েছিল। সংস্থায় পদোন্নতির ক্ষেত্রে এটি বাধ্যতামূলক। ছাঁটাই হওয়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের রিলিফ লেটার, আউটপ্লেসমেন্ট পরিষেবা, বিচ্ছেদ বেতন, কাউন্সেলিং সংক্রান্ত যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে।