প্রতীকী ছবি।
নভেম্বরের তিন সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অগস্ট-সেপ্টেম্বরের জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটাতে পারেনি কেন্দ্র। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির অভিযোগ, এর ফলে রাজ্যের রাজকোষ থেকে খরচ চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় বুধবার কার্যত নজিরবিহীন ভাবে পাঁচ রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রের উদ্দেশে তোপ দাগলেন। পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, কেরল, পঞ্জাব এবং রাজস্থানের অর্থমন্ত্রীদের আবেদন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ব্যক্তিগত ভাবে বিষয়টির দিকে নজর দিন। অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হোক।
অর্থনীতিতে ঝিমুনি, বাজারে কেনাকাটা কমে যাওয়ার ফলে সরকারের জিএসটি থেকে আয় কিছুতেই প্রত্যাশিত জায়গায় পৌঁছচ্ছে না। জিএসটির সেস বাবদ আয়ও কমেছে। সেস বাবদ আয় থেকেই রাজ্যগুলির রাজস্ব লোকসান মিটিয়ে দেয় কেন্দ্র। কিন্তু সেস বাবদ আয় কমে যাওয়ার ফলে অগস্ট-সেপ্টেম্বরের ক্ষতিপূরণ এখনও রাজ্যগুলিকে দিয়ে উঠতে পারেনি তারা। যা এমনিতে দিয়ে দেওয়ার কথা অক্টোবরে।
এ নিয়ে মঙ্গলবারই পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলের অর্থমন্ত্রী আনন্দবাজার পত্রিকায় মুখ খুলেছিলেন। আজ দিল্লিতে পাঁচ বিরোধী শাসিত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘‘এক মাস কেটে গেলেও দেরি নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি। ফলে রাজ্যের কোষাগারে চাপ পড়েছে। কয়েকটি রাজ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে ধার বা ওভারড্রাফট করছে।’’
অর্থ মন্ত্রক অবশ্য এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি। পাঁচ রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের যুক্তি, রাজ্যের রাজস্ব আয়ের ৬০ শতাংশই জিএসটি থেকে আসে। বহু রাজ্যে জিএসটি আয় ৫০% পর্যন্ত কমেছে। এর ফলে রাজ্যের বাজেট ভেঙে পড়তে পারে। অর্থমন্ত্রীরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, জিএসটি থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় না হলে কেন্দ্র ক্ষতিপূরণ দেবে— জিএসটি রূপায়ণের আগে এই শর্তের বিষয়ে সম্মত হয়েছিল কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy