পরিকাঠামো ক্ষেত্রের ঋণদাতা আইএল অ্যান্ড এফএস চাঙ্গা করতে তারা চেষ্টার কসুর করবে না বলে জানিয়েছিল সংস্থার বৃহত্তম অংশীদার জীবন বিমা নিগম (এলআইসি)। সঙ্কট জুঝতে একাধিক বার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। শনিবার লগ্নিকারীদের আশ্বস্ত করলেন সংস্থা কর্তৃপক্ষও।
সূত্রের দাবি, এ দিন প্রথমে বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের সামনে গোষ্ঠীর ভাইস চেয়ারম্যান হরি শঙ্করন জানান, সংস্থাকে আর্থিক সঙ্কট থেকে বার করে আনতে একাধিক পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার মধ্যে রাইটস ইস্যু ছাড়াও আছে সংস্থার সম্পত্তি বেচে টাকা জোগাড়। যাতে সকলের বকেয়া মেটানো যায়। পরে পর্ষদের বৈঠক শেষে তাঁর ঘোষণা, ছকা হচ্ছে সংস্থাকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর কৌশল। আর সেই পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা তৈরির দায়িত্ব পাচ্ছে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক আর্থিক উপদেষ্টা আলভারেজ অ্যান্ড মার্শাল।
শঙ্করনের দাবি, আলভারেজ পরিকল্পনা তৈরির পরে সায় চাওয়া হবে পর্ষদ ও শেয়ারহোল্ডারদের।। তার পর আসবে তা রূপায়নের পর্ব। কর্তৃপক্ষের দাবি, যাবতীয় আর্থিক দায় মেটানোর ক্ষমতা যে গোষ্ঠীর রয়েছে, তা ঋণদাতা ও শেয়ারহোল্ডারদের সামনে তুলে ধরাই পুনর্গঠনের পথে হাঁটার অন্যতম লক্ষ্য।
এ দিনের সভায় আর্থিক সংস্থানের পথ হিসেবে সংস্থার ৪,৫০০ কোটি টাকার রাইটস ইস্যুর বিষয়টি ওঠে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এ দিন তাতে শেয়ার কেনা নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়নি এলআইসি। যদিও শেয়ারহোল্ডারদের একাংশের আশা, শেষ পর্যন্ত শেয়ার কিনবে তারা। এর আগে ঋণে জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত আইডিবিআই ব্যাঙ্কেও অংশীদারি বাড়িয়ে ত্রাতা হিসেবে এগিয়ে এসেছিল এলআইসি। যে কারণে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। প্রশ্ন তুলেছিলেন, লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থাটির ঘাড়ে লোকসানে চলা ব্যাঙ্কের দায়িত্ব দিয়ে আসলে কি তার গ্রাহকদের উদ্বেগই বাড়ানো হল না?
এ বার আর্থিক সমস্যায় পড়া আইএল অ্যান্ড এফএসকে উদ্ধারেও এলআইসি এবং স্টেট ব্যাঙ্ককে এগিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। এ দিনই তা নিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্রের তির, এই সংস্থাটি কি মোদী সরকারের লেম্যান ব্রাদার্স হয়ে উঠতে চলেছে!
উল্লেখ্য, আইএল অ্যান্ড এফএস খাতায় কলমে বেসরকারি সংস্থা হলেও এর বহু শেয়ারই রয়েছে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও ব্যাঙ্কের হাতে। এলআইসির হাতে রয়েছে ২৫.৩৪%, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ৭.৬৭%, স্টেট ব্যাঙ্কের ৬.৪২%, ইউটিআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ০.৮২%। অন্যান্যদের মধ্যে আছে জাপানের ওরিক্স কর্পোরেশন, আইএল আবু ধাবি ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি, এইচডিএফসি, ইন্ডিয়া ডিসকভারি ফান্ড, আইএল অ্যান্ড এফএস এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ধারণা, জাপানের ওরিক্স এবং স্টেট ব্যাঙ্কও রাইটস ইস্যুতে অংশগ্রহণ করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy