নোটবন্দি ও তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর ধাক্কা এখনও পুরোপুরি সামলে উঠতে পারেনি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের একাংশ। তাদের মন পেতে ১ ফেব্রুয়ারি ভোট অন অ্যকাউন্টে কেন্দ্র কম সুদে ঋণ সহ একগুচ্ছ সুবিধার কথা ঘোষণা করতে পারে বলে জল্পনা। তাতে কিছুটা লাভ হবে মানলেও একই সঙ্গে এই শিল্পের দাবি, সংস্থাগুলি যাতে সহজে ঋণ পায়, কেন্দ্র আগে তার বন্দোবস্ত করুক।
এই শিল্পের সংগঠন ফসমি ও ফ্যাকসির বক্তব্য, সরকারি নানা উদ্যোগের পরেও পুঁজির সমস্যায় ভুগছে সংস্থাগুলি। ফসমির প্রেসিডেন্ট বিশ্বনাথ ভট্টাচার্যের দাবি, ছোট সংস্থার কাছ থেকে ঋণের জন্য বাড়তি বন্ধক নেয় ব্যাঙ্কগুলি। আবার যথেষ্ট ব্যাখ্যা ছাড়াই ঋণের প্রস্তাব বাতিলও করে দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ঋণ বাতিলের কারণ স্পষ্ট ভাবে জানানোর জন্য নির্দিষ্ট সরকারি ‘সেল’ চালুর দাবি তুলেছেন তিনি।
ফ্যাকসির সাধারণ সম্পাদক সুভাষচন্দ্র সেনাপতি জানাচ্ছেন, সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার দরপত্র পাওয়ার পরেও তাঁদের ‘সিকিওরিটি ডিপোজিট’ দিতে হয়। সেই অর্থের জন্যও ব্যাঙ্ক ফের বন্ধক চায়। তাঁদের দাবি, তার বদলে ওই বরাতের প্রেক্ষিতে ঋণের সুদে ছাড় দিয়ে অর্থ জোগানের বন্দোবস্ত করুক ব্যাঙ্কগুলি।
ছোট শিল্পের অভিযোগ, পণ্য সরবরাহের পরে বহু বড় সংস্থাই দীর্ঘদিন বকেয়া মেটায় না। কিন্তু পণ্য বিক্রি বাবদ জিএসটি মেটাতে হয় তাদেরই। সব মিলিয়ে টান পড়ে ছোট সংস্থার পুঁজিতে। এই বোঝা কমানোর উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরির দাবি জানিয়েছেন সুভাষবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy