জিএসটি জমানায় আগামী ১ এপ্রিল থেকে বৈদ্যুতিন ওয়ে (ই-ওয়ে) বিল চালুর সিদ্ধান্তেই অটল রইল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিগোষ্ঠী। তবে আন্তঃ-রাজ্য পণ্য পরিবহণেই আপাতত তা চালু হচ্ছে বলে শনিবারের বৈঠকের পরে জানিয়েছে তারা। এ দিকে, জিএসটি রিটার্ন জমার ব্যবস্থা সরল করা নিয়ে এ দিনের বৈঠকে ঐকমত্য হয়নি। ১০ মার্চ জিএসটি পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে ফের আলোচনা হবে।
জিএসটি জমানায় ৫০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের পণ্য চলাচলে লাগবে ই-ওয়ে বিল। জিএসটি সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীর প্রধান বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী শনিবার জানান, ১০-১৫ দিন দেখার পরে এক একটি রাজ্যের মধ্যে পণ্য পরিবহণেও তা কার্যকর হবে।
তবে পুরো ব্যবস্থা কতটা মসৃণ হয়ে উঠবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ই-ওয়ে বিল চালুর কথা থাকলেও চাপ নিতে না পারায় পুরো তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা বসে যায়। তখন মাত্র ৪.৮ লক্ষ ই-ওয়ে বিল তৈরি হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। আর, এখন জিএসটি পোর্টালে নথিভুক্তির সংখ্যাই ৯.৫ লক্ষ।
পথ চলতে
ই-ওয়ে বিল কী
• ৫০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের পণ্য পরিবহণে লাগবে এই বিল
• এর জন্য আগাম নথিভুক্তি নিতে হবে জিএসটি নেটওয়ার্কে
সময়সীমা
• বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে পণ্য লেনদেনে ই-ওয়ে বিল ১ এপ্রিল থেকে
• একটি রাজ্যের মধ্যে লেনদেনে তা চালু হবে দফায় দফায়
এখনও মতানৈক্য
• রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতি সরল করা
• বছরে একটি রিটার্নের নিয়ম চালু হবে কি না
• ছোট করদাতাদের জন্য আলাদা নিয়ম থাকবে কি না
ফলে যেখানে ৫০-৭৫ লক্ষ ই-ওয়ে বিল তৈরি হওয়ার কথা, সেখানে তা কী ভাবে সম্ভব হবে, প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট মহলে। এ প্রসঙ্গে জিএসটিএন সিইও প্রকাশ কুমারের দাবি, পুরো ব্যবস্থা উন্নত করা হয়েছে, বাড়তি সার্ভারও বসেছে।
সুশীল মোদী জানান, প্রতি মাসে একটি করে রিটার্ন (বছরে ১২টি) জমার ব্যবস্থাই আদর্শ হওয়া উচিত, যে দাবি আগেই তুলেছিলেন বিরোধী নেতারা। এখন বছরে ৩৭টি রিটার্ন দিতে হয় ব্যবসায়ীদের। তবে এ নিয়ে এবং ছোট করদাতাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে কি না, সে ব্যাপারে একমত হতে পারেনি মন্ত্রিগোষ্ঠী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy