ধর্মেন্দ্র প্রসাদ।
চাহিদার ঝিমুনি থেকে শ্লথ বৃদ্ধি— বিভিন্ন পরিসংখ্যানে অর্থনীতির হোঁচট খাওয়ার ছবিটা যতই স্পষ্ট হোক, মোদী সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা ‘কিছুই হয়নি’ ভাব দেখান বলে অভিযোগ অনেকের। পেট্রল-ডিজেলের বাড়তে থাকা দাম নিয়ে শনিবার কলকাতায় তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের বার্তাতেও সেই ‘কিছু হয়নি’ ভাবই দেখা গিয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
এ দিন বণিকসভা সিআইআইয়ের সভায় তেলের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘‘ভীতিপ্রদ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ভয় পাবেন না। আতঙ্কও ছড়াবেন না।’’ একাংশের প্রশ্ন, ৪৯ দিনে ডিজেল লিটারে ৩.৪০ টাকা এবং পেট্রল ২৬ দিনে ১.৩০ টাকা বাড়ার পরেও সঙ্কট দেখছেন না মন্ত্রী? তা-ও এমন এক সময়ে, যখন কেন্দ্রের পদক্ষেপ সত্ত্বেও আর্থিক অনিশ্চয়তা কাটছে না। লোকে খরচে রাশ টানছে। বিক্রিবাটা বাড়ার নাম নেই। চাকরির স্থিরতা নেই।
যদিও এত দিন পরে আজ কলকাতায় তেলের দাম একটু কমেছে। আইওসির পাম্পে পেট্রল লিটারে ১১ পয়সা কমে হয়েছে ৭৮.৪৮ টাকা। ডিজেল ৬ পয়সা কমে ৭১.৪৮ টাকা। কিন্তু শিল্পের দাবি, ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কী হবে তা এখনই হলপ করে বলার মতো সময় আসেনি।
২৫ নভেম্বর থেকে ডিজেল ও ১৮ ডিসেম্বর থেকে পেট্রল আর কমেনি। তার উপরে ইরান-আমেরিকা দ্বন্দ্বে সম্প্রতি বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দামকে চড়তে দেখা গিয়েছে। দেশেও প্রশ্ন ওঠে, এ বার কি তেল আরও বাড়বে? মন্ত্রীর যদিও দাবি, উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। কিন্তু খোদ ইন্ডিয়ান অয়েলের সিএমডি সঞ্জীব সিংহেরই দাবি, আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় উত্তেজনা বাড়লে চাহিদা-জোগানের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে। প্রধানের আশ্বাস, ‘‘অশোধিত তেলের জোগানে ঘাটতি নেই। কেন্দ্র কড়া নজর রাখছে। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy