—প্রতীকী চিত্র।
আর্থিক বৃদ্ধির হারকে ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষমতা অনুযায়ী মাথা তোলার সুযোগ দিলে, তবে যুব সম্প্রদায়ের জন্য তৈরি হবে কাজ এবং লগ্নিও আসবে। এই যুক্তিতেই সোমবার দেশে সুদ কমানোর পক্ষে সওয়াল করলেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটির দুই সদস্য অসীমা গয়াল এবং জয়ন্ত বর্মা। তবে কমিটির আর এক সদস্য শশাঙ্ক ভিদে অর্থনীতির ধারাবাহিক অগ্রগতি নিয়ে আশাবাদী। গত অর্থবর্ষে দেশে ৭.৬% আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। ভিদের ধারণা, ভাল বর্ষা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উন্নত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের হাত ধরে চলতি অর্থবর্ষেও ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তা ৭% বা তার বেশি হতে পারে। বর্মার অবশ্য
দাবি, বৃদ্ধির গতি শ্লথ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই এ বছর তার পূর্বাভাস ৭ শতাংশে থমকেছে।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করাচ্ছে, বিভিন্ন রাজ্যে চলতে থাকা তাপপ্রবাহ কিংবা তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে কৃষি উৎপাদনের ঝুঁকির মুখে পড়ার কথা। এখনও বাজারে আনাজ-সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম চড়া। আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন কমলে জোগানে ধাক্কা মূল্যবৃদ্ধিকে ফের ঠেলে তুলতে পারে। তার উপর পশ্চিম এশিয়া-সহ বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ভূ রাজনৈতিক উত্তেজনা বাণিজ্য বৃদ্ধির পথেও কাঁটা। ফলে বৃদ্ধির প্রত্যাশা পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন বহাল।
তবে খাদ্যপণ্যের (আনাজের মতো পচনশীল পণ্য) দামে লাগাম পরাতে না পারার কারণ যে আবহাওয়াই, তা মেনে ভিদে বলেছেন, দীর্ঘ মেয়াদে তা স্থিতিশীল করতে হলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অন্যতম প্রধান শর্ত। এই দাবিও করেছেন, আন্তর্জাতিক পরিবেশ দেশের অগ্রগতির পথে বড় বাধা। তাঁর কথায়, ‘‘এক দিকে বিশ্ব বাজারে চাহিদার শ্লথ পুনরুজ্জীবন ও অন্য দিকে জোগান-শৃঙ্খলের সঙ্কট...চলতে থাকা ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত যদি দ্রুত মেটানো না যায়, তবে তা চাহিদা ও কাঁচামালের দামের নিরিখে ঝুঁকি তৈরি করবে। ...উৎপাদনে চরম আবহাওয়ার প্রতিকূল প্রভাব যতটা সম্ভব কমানোর জন্যও তৈরি থাকতে হবে।’’ তাই দীর্ঘ মেয়াদে জোগান, পণ্য মজুতের জন্য প্রক্রিয়াকরণ এবং সংরক্ষণেও জোর দিয়েছেন তিনি।
এ দিন অসীমার দাবি, কর্মসংস্থান ও লগ্নি বাড়াতে আর্থিক বৃদ্ধির হারকে আরও উপরে উঠতে হবে। মূল্যবৃদ্ধি সহনসীমার মধ্যে ও লক্ষ্যের (৪%) দিকে নামছে। ফলে সুদ কমিয়ে আরও উঁচু হারে বৃদ্ধির সাধ্য রয়েছে দেশের। যদিও মূল্যবৃদ্ধির সামনে অনিশ্চয়তা রয়েছে বলেই যে রেপো রেট (যে সুদে আরবিআই ব্যাঙ্ককে ধার দেয়) সাতটি ঋণনীতিতে ৬.৫ শতাংশে স্থির, তা মেনেছেন তিনি। জোগান সঙ্কটের কারণে পণ্যের দামে অস্থিরতা নিয়ে এর আগে সতর্ক করেছেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও।
এই অবস্থায় বর্মার বক্তব্য, ‘‘সুদ কমানোর পক্ষে আমার ভোট বাড়তে থাকা প্রকৃত সুদের (রেপো থেকে মূল্যবৃদ্ধি বাদ দিয়ে) বিরুদ্ধে, বিশেষত যখন এর ফলে বৃদ্ধিতে ঝিমুনি আসছে। ...উঁচু প্রকৃত সুদ বাধা হতে পারে বেসরকারি ক্ষেত্রের লগ্নির পথেও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy