বহু ক্রেতারই প্রশ্ন, দামি ডিজেল গা়ড়ি কিনে লাভ কী? —ফাইল চিত্র।
ডিজেলে চলা যাত্রী গাড়ির দাম গড়ে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেশি। খরচ বেশি ক্ষণাবেক্ষণেরও। তবু বছর ছয়েক আগে তার চাহিদা বেড়েছিল পেট্রল-ডিজেলের দামের ফারাক অনেকখানি চওড়া হওয়ায়। সেই ফারাক যত মুছছে, তত ফিকে হচ্ছে ডিজেল গাড়ির চাহিদা। ধাক্কা খাচ্ছে বিক্রি। আতান্তরে শিল্প।
কলকাতায় এখন পেট্রল, ডিজেলের ফারাক লিটারে আট টাকার মতো। বহু ক্রেতারই প্রশ্ন, এ ক’টা টাকা বাঁচাতে দামি ডিজেল গা়ড়ি কিনে লাভ কী? যে লাভের গন্ধে ২০১২-১৩ নাগাদ তার চাহিদা বেড়েছিল। সে সময়ে দামের ফারাক ছিল প্রায় ৩০ টাকা। ফলে ডিজেল ইঞ্জিনে তেলের খরচ পড়ছিল অনেক কম। রোজ বেশি পথ চললে, গাড়ির দামের বাড়তি খরচ দ্রুত উসুলের পথও খুলছিল। রাজ্যে ডিলারদের সংগঠন ফাডা-র প্রেসিডেন্ট অমিত মানাকতলার মতে, গাড়ি বেশি চললে, ডিজেল ইঞ্জিনেই লাভ। হোন্ডার মতো বহু সংস্থাই তাই রাতারাতি বাড়তি পুঁজি ঢালে তাতে।
গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়ামের ডেপুটি এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর অতনু গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, ছবিটা বদলেছে ডিজেলের দামও পাল্লা দিয়ে বাড়ায়। মানাকতলারও দাবি, কলকাতায় তাঁদের কাছে পেট্রল গাড়ির চাহিদা ফের বেড়ে ৯০% ছুঁয়েছে। যে বড় এমপিভি ডিজেলে বেশি চলত, তারও পেট্রল ইঞ্জিন খুঁজছেন অনেকে।
রাজ্যে মোটর ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিনায়ক নায়ারের মতে, ‘‘অনেকেই আজকাল ৪-৫ বছরে গাড়ি বদলান। ফলে দামি ডিজেলে গাড়ির দামের বাড়তি খরচ তোলা প্রায় অসম্ভব।’’ শিল্পের দাবি, এ জন্যই এসইউভি-র জন্যও পেট্রল ইঞ্জিন চাইছেন ক্রেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy