প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের প্রত্যক্ষ প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে। বহু আন্তর্জাতিক উড়ান বাতিল, দেশীয় উড়ান কমানো, যাত্রী কমে যাওয়ার মতো সমস্যায় কার্যত ধুঁকছে অধিকাংশ সংস্থা। সেই সংস্থাগুলিকে বাঁচাতে পুনরুজ্জীবন প্যাকেজের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। ১১ হাজার ৯০০ কোটির এই প্যাকেজ নিয়ে ইতিমধ্যেই অর্থ মন্ত্রকে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রে খবর, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের দেওয়া প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে তারা। বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলির অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাময়িক ভাবে কর ছাড় দেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ যত দিন না করোনার সংক্রমণ কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সংস্থাগুলি, তত দিন ওই কর দিতে হবে না। একই বন্দোবস্ত করা হতে পারে বিমানের জ্বালানি করের ক্ষেত্রেও। এই গোটা পর্বে অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রের পদস্থ একটি সূত্রের বক্তব্য, ‘‘করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসা এবং সংস্থাগুলি ঘুরে দাঁড়ানো পর্যন্ত এই কর ছাড়ের ব্যবস্থা করা হতে পারে।’’ তবে পরে সেই বকেয়া কর মেটাতে হবে সংস্থাগুলি।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৯ হাজারে পৌঁছনোর পথে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। ছড়িয়ে পড়েছে ১৬০টিরও বেশি দেশ। ভারতেও আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৯ জন। মৃত তিন। গোটা এই পরিস্থিতির জেরে ভারতীয় অনেক সংস্থাই আন্তর্জাতিক উড়ান বাতিল করেছে। দেশীয় উড়ানও কমিয়ে দিতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেরল থেকে ফিরেই জ্বর, ডেন্টাল কলেজের দুই ছাত্রী ভর্তি এনআরএসে
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ও ভারতের টাটা গোষ্ঠীর যৌথ সংস্থা ‘ভিস্তারা’ তাদের আন্তর্জাতিক সমস্ত উড়ান বাতিল করে দিয়েছে। একই পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে ‘গোএয়ার’। দেশের সবচেয়ে বড় বিমান পরিবহণ সংস্থা ‘ইন্ডিগো’ বহু আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ রেখেছে। দেশীয় উড়ানের সংখ্যাও কমিয়ে দিতে পারে বলে সংস্থার তরফে ইঙ্গিত। আবার যে সব বিমান চলছে, তাতেও যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। ফলে আর্থিক সঙ্কট প্রায় সব সংস্থাতেই।
আরও পড়ুন: কী করে এতটা অসাবধান হলেন করোনা-আক্রান্তের বাবা, তিনিও তো চিকিৎসক!
গ্লোবাল এভিয়েশন কনসাল্টেন্সি সেন্টার ফর এভিয়েশন (সিএপিএ)-এর ভারতীয় শাখা আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে অনেক সংস্থাকেই পরিষেবা বন্ধ করে দিতে হতে পারে। পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে লোকসানে চলা বা দুর্বল আর্থিক ভিতের উপর দাঁড়িয়ে থাকা সংস্থাগুলি। গতকাল ১৮ মার্চ সিএপিএর তরফে বলা হয়েছিল, সরকার অবিলম্বে কার্যকরী ও অর্থবহ সিদ্ধান্ত না নিলে মে-জুন মাসে অনেক সংস্থাকেই অর্থাভাবে পরিষেবা বন্ধ করে দিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy