এক দিকে কাঁচামাল দামি হওয়ায় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। অন্য দিকে সেই মূল্যবৃদ্ধির জেরে ক্রেতার তলানিতে নামা চাহিদা। এই জোড়া ধাক্কায় চলতি (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ত্রৈমাসিকে মুনাফা কমার আশঙ্কায় ভুগছে দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্য বিক্রেতা সংস্থাগুলি। গোদরেজ কনজ়িউমার প্রডাক্টসের মতো সংস্থার আক্ষেপ, কয়েক মাস ধরেই বিক্রি কম। দাম বৃদ্ধি সাবানের চাহিদায় ধাক্কা দিয়েছে। দেশের পূর্বাঞ্চলে শীত পড়তে দেরি হওয়ায় হিট, গুডনাইটের মতো পোকা মারার পণ্যের বিক্রিও মার খাচ্ছে।এই দু’টি তাদের আয়ের দুই তৃতীয়াংশের উৎস। ফলে সংস্থার হিসাবের খাতায় চাপ পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে বিক্রি বৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে প্রায় ৫%।
জয় পার্সোনাল কেয়ারের মতো সংস্থা সম্প্রতি দাবি করেছে, ভোগ্যপণ্যের বাজারে দামের দোলাচল স্থায়ী হবে না। বরং ক্রেতারা পছন্দ নিয়ে আরও সচেতন হয়েছেন। ফলে নিত্যনতুন পণ্য বেছে কিনতে পিছপা হচ্ছেন না। গোদরেজও মনে করছে, কয়েক মাস পরে দামে স্থিতিশীলতা আসতে পারে। বেশ কিছু ঘটনার কারণে সাবান, কীটনাশক পণ্যের চাহিদা কমেছে। ফলে এটাকে কাঠামোগত পতন বলা চলে না। তার উপর বাদবাকি পণ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা ভাল জায়গায় রয়েছে তারা। তবে সেই ‘সুদিন’ আসার আগে পর্যন্ত চিন্তা থাকছেই, দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের।
এর আগে দাম স্থির রেখে জিনিসের ওজন কমানোর কথা জানিয়েছে পার্লে অ্যাগ্রো। নরম পানীয়, বিস্কুটের ক্ষেত্রেও একই পথে হেঁটেছে কোকাকোলা, পার্লে জি-র মতো সংস্থা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)