এক দিকে মহীন্দ্রা ইলেকট্রিকের ছোট বৈদ্যুতিক গাড়ি। অন্য দিকে অশোক লেল্যান্ডের পুরোদস্তুর বৈদ্যুতিক বাস। দেশের বাজারে প্রায় একই সঙ্গে অভিষেক ঘটল এই জোড়া বৈদ্যুতিক যানের। যা প্রথাগত জ্বালানির পথ থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বাঁক হতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
হিন্দুজা গোষ্ঠীর অশোক লেল্যান্ডের দাবি, ভারতে তারাই প্রথম এই প্রযুক্তির বাস তৈরি করেছে। যাকে গণ-পরিবহণের দুনিয়ায় ‘বড় অধ্যায়’ বলে তকমা দিয়েছেন তামিলনাড়ুর শিল্প-বাণিজ্য দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব তথা কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রকের প্রাক্তন কর্তা অম্বুজ শর্মা। তিনি বলেন, ‘‘জ্বালানি আমদানি খাতে দেশের যে ৮ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হয়, তা কমাতে সাহায্য করবে এই বাস।’’
পাশাপাশি, সম্প্রতি দিল্লিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাজারে আনা ইটুও-প্লাস গাড়িটির হাত ধরে তাদের বৈদ্যুতিক গাড়িকে আরও জনপ্রিয় করার কথা বলেছেন মহীন্দ্রা গোষ্ঠীর এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর পবন গোয়েন্কাও। তাঁর ইঙ্গিত, এ রকম আরও কিছু নতুন মডেল তো আনা হবেই। সেই সঙ্গে বর্তমানে বাজারে চালু গাড়িগুলিরও বৈদ্যুতিক সংস্করণ তৈরি করবেন তাঁরা। সে জন্য বেশি ক্ষমতার ব্যাটারি তৈরির প্রযুক্তি নিয়ে কাজও করছে সংস্থা।
মহীন্দ্রাদের এখন তিনটি বৈদ্যুতিক গাড়ি— ইটুও, ই-ভেরিটো, ই-সুপ্রো। সংস্থার দাবি, ইটুও-প্লাস আসলে ইটুও-রই উন্নত সংস্করণ। প্রতিটি চার্জে গাড়িটি পাড়ি দেবে ১৪০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার। মোট ৪টি মডেলের মধ্যে পি২ ট্যাক্সির মতো বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য বেচা হবে। আর সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ভর্তুকি ধরে কলকাতায় পি৪, পি৬ এবং পি৮-এর দাম পড়বে যথাক্রমে ৬.৯৬ লক্ষ, ৭.৩৩ লক্ষ ও ৯.৬৭ লক্ষ টাকা। প্রসঙ্গত, বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা আরও বাড়ানোর জন্যই এতে ভর্তুকি দেওয়ার প্রকল্প এনেছে কেন্দ্র।
অন্য দিকে অশোক লেল্যান্ডের দাবি, তাদের বাস এক বার চার্জ করলে পাড়ি দেবে ১২০ কিলোমিটার। চলতে পারবে বিভিন্ন ধরনের রাস্তায়। সংস্থার এমডি বিনোদ কে দসারির দাবি, ‘‘প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এটি আমাদের অন্যতম কৃতিত্ব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy