Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
CNG Station

ছাড়পত্র পেলেই চালু হবে সিএনজি স্টেশন

সংশ্লিষ্ট মহলের আশা, শীঘ্রই তা মিলবে এবং নতুন বছরের গোড়াতেই চালু হবে স্টেশন দু’টি।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত
শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৩৯
Share: Save:

কাজ চালুর মাস দু’য়েকের মাথাতেই দক্ষিণ কলকাতা ও রাজারহাট-নিউটাউনের দু’টি পেট্রল পাম্পে প্রাকৃতিক গ্যাসের (সিএনজি) স্টেশন গড়তে যন্ত্রাংশ বসানো শেষ করল বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি (বিজিসিএল)। এখন সেখান থেকে বাণিজ্যিক ভাবে সিএনজি বিক্রি শুরুর চূড়ান্ত পর্যায়ের কিছু ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশন এবং গেল-এর যৌথ সংস্থাটি। সংশ্লিষ্ট মহলের আশা, শীঘ্রই তা মিলবে এবং নতুন বছরের গোড়াতেই চালু হবে স্টেশন দু’টি।

কাজ চলছে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার আরও ছ’টি পাম্পে। আর ভবিষ্যতের এই বাজারের কথা মাথায় রেখে এখনই মারুতি-সুজুকি-সহ বিভিন্ন গাড়ি সংস্থা এখানে সিএনজি চালিত চার ও তিন চাকার গাড়ি বিক্রি শুরুর কথা ভাবছে বলেও সূত্রের খবর।
রাজ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের জোগানের লক্ষ্যে ২০০৫ সালে গেল-এর সঙ্গে আলোচনার শুরু করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। গেল লগ্নি প্রস্তাবের কথা জানায়। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হয় বর্তমান প্রশাসনও। উত্তরপ্রদেশ থেকে গেল-এর মূল পাইপলাইনের গ্যাস রাজ্যের নানা এলাকায় রান্না, গাড়ি ও শিল্পে জ্বালানি হিসেবে বণ্টনের জন্য বিভিন্ন সংস্থাকে ছাড়পত্র দেয় সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক পিএনজিআরবি। কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে প্রথমে গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশন এবং পরে বিজিসিএল তা পায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, গড়িয়ায় ভারত পেট্রোলিয়াম ও রাজারহাটে ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে সিএনজি স্টেশনের পরিকাঠামো তৈরি। ডিসেম্বরেই সেগুলি চালুর সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু এ জন্য যন্ত্রাংশ বসানোর পরে ফের কেন্দ্রের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ অর্গানাইজ়েশনের লাইসেন্সের পাশাপাশি রাজ্যস্তরেও চূড়ান্ত কয়েকটি অনুমোদন দরকার। তা মিললেই স্টেশন চালু হবে। পাইপলাইন সম্পূর্ণ না-হওয়া পর্যন্ত আপাতত দুর্গাপুরের এসার এনার্জির কোল বেড মিথেন গ্যাস কিনছে গেল। তাদের থেকে ওই গ্যাস কিনে সিএনজি স্টেশনে জোগাবে বিজিসিএল। পরে গেলের পাইপলাইনেও সরাসরি আসবে প্রাকৃতিক গ্যাস।

মারুতি-সুজুকির এগ্‌জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর (বিক্রি ও বিপণন) শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের সিএনজি চালিত গাড়ি বিক্রি হয়। ক্রেতারা চাইলে পশ্চিমবঙ্গেও সেই গাড়ি বিক্রি করতে প্রস্তুত তাঁরা।

বস্তুত, পেট্রোল-ডিজেলের চেয়ে সিএনজি গাড়ি চালানোর খরচ কম। ডিজেলের চেয়ে তা দামেও সস্তা। সিএনজির জোগান চালু হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিলার ও তাঁদের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবে সংস্থাটি। সূত্রের খবর, সিএনজি-র অগ্রগতিতে নজর রাখছে অন্যান্য সংস্থাগুলিও।

অন্য বিষয়গুলি:

CNG Station BGCL
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE